প্রতিবেদন : অত্যাচারী বিএসএফ। কোনওরকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের ব্যাপক মারধোর করল সীমান্তরক্ষা বাহিনী। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের দু’নম্বর ব্লকের মিঠিপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। বিএসএফের মারে আহত গ্রামবাসীদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্তত ১৫-১৬ জন গুরুতর আহত। তাদের দেখতে হাসপাতালে যান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান। তাঁর স্পষ্ট কথা, অকারণ অত্যাচার মানবে না গ্রামবাসী। পাল্টা প্রতিরোধ হলে বিএসএফ বেকায়দায় পড়বে।
ঘটনা কী?
আরও পড়ুন-ছিঃ! স্কুল ভেঙে মৃত শিশুর অন্ত্যেষ্টি টায়ার জ্বালিয়ে
রবিবার রাতে হঠাৎই মিঠিপুরের হালদার পাড়ায় জনা চারেক বিএসএফ জওয়ান ঢুকে পড়ে। তখন সেখানে সন্ধ্যাবেলায় মোড়ে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসীরা গল্প করছিলেন। কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই এলোপাথাড়ি লাঠি চলতে থাকে গ্রামবাসীদের উপর। তাদের নাকি অভিযোগ, গরু পাচার হয়েছে। জড়িত গ্রামবাসীরাই। কোনও প্রমাণ ছাড়াই গ্রামবাসীদের সন্দেহ করে বিএসএফ আক্রমণ করতে শুরু করে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এভাবে গ্রামবাসীদের মারধোর করার অধিকার কে দিয়েছেন? তার জবাব নেই। ঘটনা জানার পরই হাসপাতালে চলে আসেন আখরুজ্জামান। আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, গরু পাচারকারীদের ছেড়ে দিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মারধোর করেছে বিএসএফ। আসল লক্ষ্য বাংলার বুকে অস্থিরতা তৈরি করা। মানুষ এই অত্যাচার সহ্য করবে না। তাঁরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।