প্রতিবেদন : উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিরাট বদল এনেছে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। এক খসড়া প্রকাশ করে ইউজিসির তরফে জানানো হয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে আচার্যের হাতে। এমনকী, বলা হয়েছে শিক্ষাজগতের বাইরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও হতে পারবেন উপাচার্য। শিল্পক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক বা সরকারি নীতি প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ আধিকারিকদেরও উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে দেশের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, নতুন নিয়মে প্রার্থীদের ইউজিসি (UGC) নেট অথবা সেট এবং পিএইচডি করার বিষয়ই মূল যোগ্যতা হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে অন্য বিষয়ে পড়াশোনা করলেও প্রার্থীর আবেদন করতে বাধা থাকবে না। তবে এই গোটা বিষয়টিকে মেনে নিতে নারাজ রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে চার্জ কমিটিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি থাকা বাঞ্ছনীয় বলে তিনি মনে করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি থাকাটা বাঞ্ছনীয়। কেননা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তৈরি থেকে যাবতীয় পরিকাঠামো নির্মাণ বা অন্যান্য সমস্ত খরচ রাজ্য কোষাগার থেকে যায়। তাই, মুখ্যমন্ত্রীর মতামত এক্ষেত্রে একান্তই আবশ্যক।
আরও পড়ুন- প্রদীপ ভট্টাচার্য ঠিক বলেছেন, মন্তব্য নেত্রীর
অপরদিকে, শিক্ষাবিদ না হয়েও উপাচার্য হওয়ার বিষয়টিকে একেবারেই সমর্থন করতে পারছেন না তিনি। তাঁর কথায়, আমি এই দৃষ্টিভঙ্গিকে একেবারেই সমর্থন করতে পারি না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য বা কেন্দ্রীয় আদালতের বিচারক নির্বাচন যদি আইনজগতের বাইরে থেকে কেউ হন,তাহলে কি আইনজীবীরা মানবেন?
মনে হয়, না। এক্ষেত্রেও উপাচার্য শিক্ষাজগতের অভিজ্ঞ কেউ হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।