প্রতিবেদন : সত্য সেলুকাস কী বিচিত্র…! ব্যাকড্রপে মোদিকে দেখে দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সেলফি জোন তৈরির কার্যত হুলিয়া জারি করল ইউজিসি! অর্থাৎ, বিজেপি রাজত্বে এবার উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রকেও রসাতলে পাঠানোর বন্দোবস্ত শুরু হয়ে গেল। মোদি-বন্দনার মাধ্যমে ইউজিসি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গেরুয়াকরণের নোংরা রাজনীতিতে মাতল। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংস্থার কাজ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষাবিষয়ক নানা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অনুদান-সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। অথচ কোনও এক অজানা কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে পড়াশুনা-সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরে গিয়ে অদ্ভুত এক পদক্ষেপ ইউজিসির।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সম্প্রতি, ইউজিসির তরফে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির কাছে ফরমান এসেছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একটি বিশেষ সেলফি পয়েন্ট তৈরি করাতে হবে। যেখানে সেলফি জোনের ব্যাকড্রপে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ছবি, কাট-আউট। আর তার সামনে দাঁড়িয়েই সেলফি তুলবেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক কিংবা অন্যরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করতে হবে। সেলফি তোলার জন্য পড়ুয়া-শিক্ষকদের উৎসাহ দেওয়ার কথাও কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ইউজিসি। ইতিমধ্যেই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন ইউজিসি সচিব মণীশ যোশী।
আরও পড়ুন-বঞ্চনা-অপমানের প্রতিবাদে উত্তাল, গর্জে উঠল কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ
খোদ ইউজিসির এমন অদ্ভুত নির্দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশের শিক্ষামহলে। সংশ্লিষ্ট মহলে অনেকেই মনে করছেন, এবার শিক্ষাঙ্গনে নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেকে তুলে ধরতেই এমন আত্মপ্রচার মোদির। লোকসভা ভোটের আগে নতুন প্রজন্মের উপর প্রভাব ফেলতেই এমন কৌশল নিয়েছেন আত্মপ্রচারক মোদি ও তাঁর দল বিজেপি। তবে ইউজিসির এমন পদক্ষেপে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, এই সিদ্ধান্ত হাস্যকর। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবি দিয়ে সেলফি জোন বাংলার কলেজ-বিশ্ব বিদ্যালয়গুলি মানবে না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ইউজিসির উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে উচ্চশিক্ষার উন্নতিসাধনে আরও সচেষ্ট হওয়া।