প্রতিবেদন: দীর্ঘ ৭০ বছর পর ব্রিটেনের সিংহাসনে বসলেন নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস (Charles iii)। শুরু হল এক নতুন যুগের। দেশের ৪০ তম রাজার রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে গোটা ব্রিটেন আনন্দের উচ্ছ্বাসে ভাসছে। শনিবার ৭৪ বছর বয়সি রাজা চার্লসের (Charles iii) হাতে তুলে দেওয়া রাজদণ্ড, স্বর্ণগোলক ও রাজকীয় তরবারি-সহ একাধিক প্রতীকী ভূষণ। মাথায় উঠল মণিমানিক্য খচিত রাজমুকুট। রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে ছিল রাজকীয় আয়োজন। দেশ-বিদেশ থেকে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার গণ্যমান্য অতিথি। ১৯৫৩ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেকের পর এবার তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক হল।
আরও পড়ুন- কৃত্রিম মেধার প্রভাব নিয়ে আলোচনায় জো বাইডেন
শনিবার সকাল ৯টার মধ্যেই লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে আমন্ত্রিতরা হাজির হয়ে যান। সকাল ১১টা নাগাদ বাকিংহাম প্যালেস থেকে ডায়মন্ড জুবিলি স্টেট কোচে চেপে অ্যাবেতে পৌঁছন রাজা তৃতীয় চার্লস এবং রানি ক্যামিলা। যাত্রাপথের পুরোটাই সাজানো হয়েছিল জাতীয় পতাকায়। অ্যাবেতে পৌঁছে প্রথমেই প্রার্থনা সারেন রাজা ও রানি। প্রার্থনা শেষে নতুন রাজাকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। পবিত্র গসপেলে হাত রেখে দেশে আইনের শাসন বজায় রাখার শপথবাক্য পাঠ করেন রাজা। এদিন রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চার্লসের দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। এদিনের অনুষ্ঠানে বাইবেল পাঠ করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ঋষিক সুনাক। রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে তিন দিন ব্রিটেনে একাধিক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।রাজার মাথায় মুকুট ওঠার পর মুকুট পরানো হয় রানি ক্যামিলাকে। তবে এদিন রানির মুকুটে ছিল না কোহিনুর হিরে। এদিনের রাজার শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি। এদিনের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান চলে দুঘণ্টা। ঠিক দুপুর ১টা নাগাদ রাজা এবং রানি গোল্ড স্টেট কোচ চেপে অ্যাবে থেকে বাকিংহাম প্যালেসে ফিরে যান। ব্রিটেনের রাজপথে এদিন দেশের পতাকা হাতে শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক এবং তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি। এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকিংহাম প্যালসে ফিরে আসার পর রাজদম্পতি বারান্দায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যেই হাত নাড়েন। রাজার সম্মানে এদিন বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক। রাজ্যভিষেকের প্রতিটি পর্বই এদিন রীতিমতো নিয়ম মেনে ঘড়ি ধরে পালন হয়েছে।