পান্তা, কচুশাক খেয়েই ইছামতীর দিকে পাড়ি দিলেন উমা

মেয়ের বাপের বাড়ি ঘোরা শেষ।

Must read

সুমন তালুকদার, বসিরহাট: মেয়ের বাপের বাড়ি ঘোরা শেষ। এবার গুটি গুটি পায়ে কৈলাসের পথে পাড়ি দিলেন উমা। তাই নিয়ম মেনেই বাড়ির মেয়েকে পান্তা ভাত, কচুশাক, চালতার চাটনি খাইয়ে স্বামীর ঘরে পাঠালেন টাকি রাজবাড়ির সদস্যরা। এই প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যে দিয়ে শুরু হল টাকির শতাব্দীপ্রাচীন বিসর্জন। এখন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতীতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনে বিষাদের সুর।
দুই বাংলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদীতেই মূলত দুই দেশের প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে দুই বাংলার মানুষ ভিড় জমান ইছামতী নদীর পাড়ে।

আরও পড়ুন-তৎপর পুলিশ, নির্বিঘ্নে, নিরাপদে কাটল পুজো

নিয়ম মেনে আজও টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনে কোনও যানবাহনের ব্যবহার হয় না । ২৪ বেয়ারার কাঁধে করেই ইছামতীর ঘাটের দিকে যান উমা। পুরনো রীতিনীতি ও ঐতিহ্য মেনে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর ঠাকুর দালানে বসে সকলে মিলে পান্তা ভাত, কচুশাক, আলু সিদ্ধ, আলু ভাজা ও মিষ্টি খেয়ে থাকেন।
এদিকে, প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে টাকির ইছামতী নদীতে সকাল থেকেই তুমুল ব‍্যস্ততা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে। রয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারিও। ইছামতীর মাঝ বরাবর লক্ষ্মণরেখা টেনে দিয়ে দুই বাংলার সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ইছামতীতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের শতাব্দীপ্রাচীন রেওয়াজ। ভৌগোলিক বিভাজন ভুলিয়ে দিয়ে দুই দেশের মানুষকে এক করে দেয় এই দিনটা। এই নিরঞ্জনকে ঘিরে একেবারে অন‍্যরকম আবেগ এবং অনুভূতি কাজ করে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মানুষের।
এদিন বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে ইছামতী নদীর পাড়ে ভিড় জমান ভক্তরা।

Latest article