সংবাদদাতা, বসিরহাট : দুর্গাপুজোর (Durgapuja) সঙ্গে বেশ কিছু ঐতিহ্য পরম্পরা এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে শারদীয়া বললেই সে বিষয়গুলি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এর মধ্যে অন্যতম টাকির ইছামতীতে উমার বিসর্জন। প্রত্যেকবারের মতো এবারও টাকির ইছামতীতে জমিদার বাড়ির দুর্গার কৈলাস গমন দেখতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এই বাড়ির রীতি অনুযায়ী উমাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর আগে পান্তা ভাত, কচুর শাক খাওয়ানো হয়।
আরও পড়ুন-ঘরের ছেলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে আজও দুর্গাপুজো হয় সারেঙ্গাবাদে
সেই পরম্পরা মেনেই শনিবার ভোরবেলা মেয়েকে বিদায় জানানোর তোড়জোড় শুরু হয়। সেখানে বাড়ির মেয়ে-বউরা একে একে উমাকে বরণ করেন। হয় সিঁদুরখেলাও। তারপরে ২৪ বেয়ারার কাঁধে চড়ে গ্রামের দু’কিলোমিটার পথ পরিক্রমা শেষে ইছামতী নদীর ঘোষবাবুর ঘাটে দুর্গার নিরঞ্জন করা হয়। নদীর পূর্বদিকের বাড়িগুলি থেকে শুরু হয় বিসর্জন। একদম পূর্বদিকে যে বাড়িটি রয়েছে সেই বাড়ির প্রতিমা থেকে শুরু করে পরপর বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় ইছামতীর বুকে। তারপর সবশেষে মিষ্টি বিতরণ, চোখের জলে ঘরের মেয়েকে বিদায় জানিয়ে আবার এক বছরের অপেক্ষা।