আর চাপ নিতে পারছি না, বিদায় নোট লিখে আত্মঘাতী বিএলও

সুইসাইড নোটে এই কথা লিখে ক্লাসরুমেই আত্মহত্যা করলেন এক বিএলও। অত্যাধিক কাজের চাপে আরও এক বিএলও বেছে নিলেন মৃত্যুকে।

Must read

প্রতিবেদন : আর চাপ নিতে পারছি না, বিদায়। সুইসাইড নোটে এই কথা লিখে ক্লাসরুমেই আত্মহত্যা করলেন এক বিএলও। অত্যাধিক কাজের চাপে আরও এক বিএলও বেছে নিলেন মৃত্যুকে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার রানিবাঁধের রাজাকাটা এলাকায়। মৃতের নাম হারাধন মণ্ডল। তিনি রাজাকাটা মাঝেরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ক্লাসরুম থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। সেই নোটে শিক্ষক লিখে গিয়েছেন, এই কাজের জন্য আমিই দায়ী। এর সঙ্গে অন্য কারও যোগ নেই। সব ঠিক করেও আমি ভুল করলাম। ক্ষমা করো আমাকে। আর চাপ নিতে পারছি না, বিদায়। রানিবাঁধ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, অপরিকল্পিত এসআইআরের জন্য আর কত মৃত্যু দেখতে হবে? এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এক বিএলও।

আরও পড়ুন-নাম নিয়ে সন্দেহ হলেই দায়িত্ব পালন করুন, নির্দেশ অভিষেকের

হারাধন বাঁকুড়ার রানিবাঁধ বিধানসভার ২০৬ নম্বর বুথে বিএলও-র দায়িত্ব পেয়েছিলেন। নিজের বুথের কিছু ভোটারের শুনানিতে ডাক পড়ে। সেই ভোটারদের নথিপত্র জোগাড়ের নাম করে রবিবার বেলা দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। পরে পরিবারের লোকেরা স্কুলে পৌঁছে দেখেন ক্লাসরুমের সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হারাধন। মৃতের ছেলে সোহম মণ্ডল জানিয়েছেন, এসআইআরের কাজের চাপ তাঁর বাবা আর নিতে পারছিলেন না। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন নিয়ম হচ্ছে। কাজের চাপ নিতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন হারাধন আর তার থেকে মুক্তি পেতে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

Latest article