ঠ্যালার নাম বাবাজি, চাপের মুখে “মোদী কি পরিবার” বাক্যটি মুছে ফেলার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

তবে এবার মোদী বুঝতে পারছেন, তিনি ভোটে প্রকৃতপক্ষেই হেরেছেন। শত শত মানুষের পরিবারের থেকে শতহস্ত দূরে আছেন তিনি।

Must read

ভোটের আগে ডেইলি প্যাসেঞ্জার, ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলা ‘অবকি বার ৪০০ পার’ সবই যে ফাঁকা আওয়াজ প্রমান হয়ে গিয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha election)। বাংলায় গেরুয়া শিবির মুখ থুবড়ে তো পড়েছে উল্টে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার বার্তা দিয়ে কেন্দ্রে শাসকই এখন পরনির্ভর। একটা সময়ে স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বাংলা বিজেপির সুকান্ত মজুমদার সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নামের পাশে লিখতেন “মোদী কি পরিবার।” গত দুই তিন বছর ধরে এই রীতি চালু আছে। তবে এবার মোদী বুঝতে পারছেন, তিনি ভোটে প্রকৃতপক্ষেই হেরেছেন। শত শত মানুষের পরিবারের থেকে শতহস্ত দূরে আছেন তিনি। মোদীর নামে যে আর দেশ বা পার্টি চলবে না সেই ব্যাপারে সম্যক ধারণা তাদের হয়ে গিয়েছে। নীতিশ, চন্দ্রবাবুর সমর্থন কত দিন থাকবে সেই নিয়েও রীতিমত দ্বন্দে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্থাৎ “মোদী কি গ্যারান্টির” দিন শেষ এই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।

আরও পড়ুন-কুয়েতের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডে ৫ ভারতীয় সহ ৪১ জনের মৃত্যু

এই অবস্থায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমস্ত বিজেপি নেতা, মন্ত্রী ও কর্মীদের কাছে অনুরোধ করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার তাঁরা যেন নামের পাশ থেকে “মোদী কি পরিবার” বাক্যটি মুছে দেন। কারণ হিসেবে বোঝাই যাচ্ছে এখন সব কথায় NDA বলতে হচ্ছে, যার অর্থ জোট সরকার। মোদী সরকার নয়।

আরও পড়ুন-ডোডায় সেনা ক্যাম্পে হামলা, আহত ৬ জওয়ান

প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে গত সরকারের কমপক্ষে ১৯ জন মন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি সহ ৪ জন ক্যাবিনেট ব়্যঙ্কের ছিলেন। অন্যদিকে এবারের ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। সরকার টিকিয়ে রাখতে তাই জোটসঙ্গীদের ওপর নির্ভর করে থাকতেই হবে বিজেপিকে। স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রীপদের দাবি নিয়ে চাপ বাড়িয়েছে টিডিপি এবং জেডিইউ-র মতো দলগুলি। সরকার বাঁচাতে সেই সব দাবির অধিকাংশ মেনে নিয়ে আপস করতে হচ্ছে কেন্দ্রের সরকারকে। তাই এবার মোদী ৩.০ সরকারের ক্যাবিনেটের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। গতবার উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপি একাই ৬২টি আসন ঝুলিতে ঢোকায়। এবার এই রাজ্যের সিংহভাগ আসন সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেস জোট নিয়ে গিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে আমেঠি আসন পুনর্দখল করেছে কংগ্রেস। সেখানে সোনিয়া গান্ধীর আপ্তসহায়ক কিশোরী লাল হারিয়ে দিয়েছেন স্মৃতি ইরানিকে। যোগী রাজ্যে ঝুলি উল্টে দেওয়ার পরেও মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এবার উত্তরপ্রদেশের জালাউন থেকে হেরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভানু সিং ভর্মা। চণ্ডৌলি থেকে মহেন্দ্রনথ পাণ্ডে, মুজফফরনগর থেকে সঞ্জীব বলিয়ান, ফতেহপুর থেকে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, মোহলগঞ্জ থেকে কৌশল কিশোর হেরেছেন। তিরুবনন্তপুরম থেকে শশী থারুরের বিপরীতে হেরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। সবমিলিয়ে জোট সরকার যে ইতিমধ্যেই টলমল করছে সেই ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

Latest article