সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া : উলুবেড়িয়ায় শাটল কক তৈরিতে গতি আনতে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। শাটল কক তৈরির উপযোগী সাদা হাঁসের অভাব মেটাতে ইংল্যান্ড থেকে হাঁসের ছানা আনছে পশুপালন (অ্যানিম্যাল হাজব্যান্ড্রি) দফতর। ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড থেকে আসছে ৫০ হাজার সাদা হাঁসের বাচ্চা। যার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে পাঁচ হাজার বাচ্চা এসে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-সরস্বতী পুজোয় হাজরায় নিজের কলেজ যোগমায়াদেবীতে মুখ্যমন্ত্রী
এগুলি হরিণঘাটা ফার্ম হাউসে প্রতিপালিত হচ্ছে। এ বছরের মাঝামাঝি সেগুলি উলুবেড়িয়ার যদুরবেড়িয়া, বাণীবন প্রভৃতি গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিলি করা হবে। এখানে হাঁসের পালকের শাটল কক তৈরি হয়। যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি হয়। কিন্তু ওই বিশেষ প্রজাতির পালকের অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ থেকে বেশি দাম দিয়ে আনতে হচ্ছিল। ফলে শাটল ককের উৎপাদন খরচ যাচ্ছিল বেড়ে। এই সুযোগে চিনের শাটল কক বাজারে ছেয়ে যাচ্ছিল। হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট দফতরকে উদ্যোগী হতে বলেন।
আরও পড়ুন-টোটো ভাষার বর্ণমালা তৈরি করে পদ্মশ্রী ধোনিরাম
পশুপালন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে উদ্যোগ নেন উলুবেড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরাও। কীভাবে মেশিনপত্র আরও উন্নত করা যেতে পারে এবং শাটল কক তৈরিতে নিযুক্ত শিল্পীদের দক্ষতা আরও বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নেন উলুবেড়িয়ার বণিকসভার প্রতিনিধিরা। এই ব্যাপারে কক তৈরিতে নিযুক্ত লোকজন ও তাঁদের দক্ষতা বাড়ানোর কাজে যুক্ত সংস্থাকে নিয়ে পাঁচলায় একটি বৈঠক হয়। সেখানে জেলা শিল্প দফতর, উলুবেড়িয়া চেম্বার অফ কমার্স ও ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। শিল্পীদের দক্ষতা ও মেশিনপত্রের মান আরও বাড়ানোর বিষয়ে রূপরেখা তৈরি হয়। ব্যাঙ্কে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে শ্রমিকদের ‘আর্টিজেন কার্ড’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।