প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটে বিরোধীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ায় একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে চাপে পড়ছে সরকারপক্ষ। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও চাপে পড়া মোদি সরকারের চেহারা স্পষ্ট। আর তাই বিরোধীদের চাপে অবশেষে সংসদের দুই কক্ষেই সংবিধান নিয়ে আলোচনার দাবি মেনে নিয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। যে বিজেপি দল সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল, এবার সেই দলের জোট সরকারই সংসদে সংবিধান নিয়ে আলোচনার দাবি মানতে বাধ্য হল।
আরও পড়ুন-কেন ভারতীয় সংবিধান সমাজতন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ কথাগুলো রেখেছে?
লোকসভা ও রাজ্যসভায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই বারবার মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। বিরোধীরা মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, আদানি ইস্যু থেকে মণিপুরের হিংসা নিয়ে আলোচনা দাবি করলেই মুলতুবি করে দেওয়া হচ্ছে সংসদের দুই কক্ষ। সংসদের এই অচলাবস্থাকে সমর্থন করে না তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, উন্নয়নের পথ বন্ধ করে কোনও আন্দোলন বা দাবি আদায় জনস্বার্থবিরোধী। বিরোধীরা সংসদে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা চাইছেন। কিন্তু দেখা গেল সোমবারও বিরোধীদের সংবিধান নিয়ে আলোচনার দাবিতে ফের মুলতুবি হয়ে গিয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভা। এরপরই অচলাবস্থা কাটাতে দুই কক্ষের সব দলনেতাকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় লোকসভা ও রাজ্যসভায় আলাদা আলাদা দিনে সংবিধান নিয়ে বিশেষ আলোচনা হবে। লোকসভায় ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর ও রাজ্যসভায় ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর বিশেষ আলোচনা হবে। এই বৈঠকে বিরোধী নেতাদের মধ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব, সুপ্রিয়া সুলে উপস্থিত ছিলেন।