অপদার্থ ডবল ইঞ্জিন সরকার, ফের মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, সমর্থন প্রত্যাহার করল এনপিপি

আন্দোলনকারীদের দাবি, জিরিবাম জেলায় ছ’জনকে অপরহরণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপি শাসিত মণিপুরের প্রশাসন অপদার্থ, তা ফের একবার প্রমণিত। অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনায় মণিপুর জ্বলছে। ভয়ঙ্কর হিংসা ও প্রাণহানি ঠেকাতে ব্যর্থ মণিপুরের সরকার। ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না কেন্দ্রীয় সরকারও। আর সেই ব্যর্থতার অভিযোগেই এবার সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিল এনডিএ শরিক কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স বা কেপিএ। তাদের দুই বিধায়ক রয়েছে মণিপুর বিধানসভায়। তবে তাদের সমর্থন প্রত্যাহারে সরকার সংখ্যার নিরিখে সংকটে পড়বে না।

আরও পড়ুন-গদ্দারের বুথে হারল বিজেপি, হামলা তৃণমূলের উপর

দীর্ঘদিন ধরে কার্যত হিংসা-অশান্তির মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে মণিপুর। প্রধানমন্ত্রী একবারের জন্যও অশান্ত মণিপুর যাওয়ার সাহস দেখাননি। নিরাপদ নন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের পর টার্গেট রবিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়িতেও ঢোকার চেষ্টা করল উন্মত্ত জনতা। শনিবার দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালানোর পর এদিন তারা পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। জিরিবাম জেলায় ছ’জনের অপহরণ এবং খুনের বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দরবার করে তারা। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে কোনওরকমে সে-যাত্রায় রক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন। মণিপুর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে। দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। সে কারণেই শনিবার বিকেলে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে জারি করা হয় কার্ফু। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুর-সহ মোট সাত জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জারি করা হয় একাধিক বিধি-নিষেধ। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মন্ত্রী-বিধায়কদের পর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত পৌঁছে যান আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন-ডাক্তারদের কাজের লাইভ স্ট্রিমিং চাই

আন্দোলনকারীদের দাবি, জিরিবাম জেলায় ছ’জনকে অপরহরণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের পর নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। এর আগে শনিবার মণিপুরের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সাপম রঞ্জন, উপভোক্তা বিষয়কমন্ত্রী এল সুসীন্দ্র সিংহ, বিজেপি বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের জামাতা আর কে ইমো-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।

Latest article