প্রতিবেদন : সমাজ উন্নয়নমুলক প্রকল্পে দেশে এখন মডেল বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন জনকল্যাণ প্রকল্পে বাংলাই পথ প্রদর্শক। বিশ্বের দরবারেও তা সমাদৃত ইতিমধ্যে। কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী বিশ্বে সেরার সেরা তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে। এবার নবান্নে ইউনিসেফের প্রতিনিধির কাছে সেই সামাজিক মডেলই তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার নবান্নে ইউনিসেফের ভারতীয় প্রতিনিধিত্বকারী সিন্থিয়া ম্যাকক্যাফ্রি সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মঙ্গলবার এই সাক্ষাৎপর্বে মুখ্যমন্ত্রী ও ইউনিসেফ প্রতিনিধির মধ্যে রাজ্যের শিশু কল্যাণ, পুষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। রাজ্যে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে ইউনিসেফের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রেখে চলবে রাজ্য। সৌজন্য সাক্ষাতের শেষে মুখ্যমন্ত্রী সিন্থিয়া ম্যাকক্যাফ্রিকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলার সরকার ও ইউনিসেফের মধ্যে সুদৃঢ় পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখার বার্তা দেন।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের জাদু-উৎসাহ বাড়াতে ৩ দিনের কর্মশালা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন প্রকল্প এর আগে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে বিশ্বে সেরার সেরার তকমা ছিনিয়ে নিয়েছিল বাংলা। তারপর ‘সেন্ট গ্যালেন’-এর মঞ্চে স্বীকৃতি পেয়েছিল বাংলার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের দারুণ প্রশংসাপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ‘দ্য ব্রেস্ট’ নামের আন্তর্জাতিক জার্নালেও। বিশ্বের অন্যতম সেরা চিকিৎসকদের সম্মেলন ‘সেন্ট গ্যালেন ব্রেস্ট ক্যানসার কনফারেন্স ২০২৫’-এ ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের খরচ কমাতে বাংলার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সফলতাকে বর্ণনা করেছিলেন চিকিৎসক-প্রতিনিধিরা। এছাড়াও সবুজসাথী, উৎকর্ষ বাংলা সমাদৃত হয়েছিল বিশ্বের দরবারে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো অনেক প্রকল্প দেশে এখন মডেল। একাধিক রাজ্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে অনুকরণ করতে শুরু করেছে।