প্রতিবেদন : আগামিকাল ভোর থেকেই গঙ্গাসাগরে শুরু মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। ইতিমধ্যেই সাগরে পৌঁছে গিয়েছেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। আর সাগরে যাওয়ার আগে দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীরা প্রাথমিকভাবে আশ্রয় নিচ্ছেন বাবুঘাটের ট্রানজিট ক্যাম্পে। গঙ্গাসাগরের মতো বাবুঘাটেও প্রশাসনের তরফে রয়েছে উচ্চপর্যায়ের ব্যবস্থাপনা। থাকা-খাওয়া ও পরিস্রুত পানীয় জল থেকে শুরু করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পও রয়েছে। কলকাতার সিভিল ডিফেন্স সংগঠন ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মিনি হাসপাতাল। আবার কলকাতা পুরসভার তরফেও স্বাস্থ্যশিবির রয়েছে। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ২৪ ঘণ্টাই প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সও। প্রতিদিন সাধু-সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের কয়েকহাজার পুণ্যার্থী বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন এইসব ক্যাম্প থেকে। এখনও পর্যন্ত লক্ষাধিক পুণ্যার্থী চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-সাইবার অপরাধ রুখতে পাঠ শুরু এবার অষ্টম শ্রেণি থেকে
গত ৯ জানুয়ারি থেকেই বাবুঘাটের ট্রানজিট ক্যাম্পে স্বাস্থ্য দফতরের মিনি হাসপাতাল চলছে। ২৪ ঘণ্টাই সেখানে নিরলসভাবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন ডাক্তার, নার্স-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চলছে ডিউটি। মোটামুটি সবরকম প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার বন্দোবস্ত রয়েছে এই মিনি হাসপাতালে। বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধের সঙ্গে মজুত রয়েছে সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশির ওষুধপত্রও। রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনমতো ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। কারও পরিস্থিতি গুরুতর হলে তাঁকে রেফার করা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে। শনিবারই যেমন এক ভিনরাজ্যের পুণ্যার্থীকে মিনি হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে।