কেন্দ্রীয় বাজেটে চা-শিল্পের কোনও উচ্চবাচ্য নেই, হতাশ চা-শিল্পমহল

এছাড়াও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ‘এসপিটিএফ’ অনুদান এবারের বাজেটে ফের চালু হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিল চা-শিল্প, তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল বাজেট।

Must read

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী আলিপুরদুয়ার: চা-শিল্প যে কেন্দ্র সরকারের দুয়োরানি, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় বাজেটে। রাজ্যের বিজেপি নেতারা মুখে চা-শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে গালভরা প্রতিশ্রুতি দিলেও, বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাগুলোর একটিও চা-বাগানের পাশ ঘেঁষে গেল না। ফলে চরম হতাশা উত্তরের চা-বলয়ে। বড় বড় চা-বাগানগুলোর সঙ্গে হতাশ ক্ষুদ্র চা-চাষীরাও। ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্ডিয়ান টি বোর্ডের এক ফরমানে রাজ্যে চা উৎপাদন মার খেয়েছে প্রায় সাত শতাংশ। সম্প্রতি এই তথ্য তুলে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-শেষ ম্যাচে ঋদ্ধিকে জয় উপহার দলের

এছাড়াও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ‘এসপিটিএফ’ অনুদান এবারের বাজেটে ফের চালু হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিল চা-শিল্প, তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল বাজেট। এই বিশেষ অনুদান চা-শিল্পকে সচল রাখতে অনেকটাই সহায়তা করত। নতুন চায়ের চারা রোপণ থেকে কারখানার আধুনিকীকরণ হত অনুদানে। দীর্ঘদিন বন্ধ চা-বাগানগুলোর ভবিষ্যৎ কী তা নিয়েও কোনও শব্দ খরচ করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সস্তা বিদেশি চায়ের আমদানির পথ সুগম করল এই বাজেট। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার ডুয়ার্স শাখার চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর বলেন, আমরা এই বাজেটে হতাশ। যে শিল্পের ওপর নির্ভর করে দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষের অন্ন সংস্থান হয়। সেই শিল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় বাজেটে একটি কথাও খরচ হল না। তৃণমূল চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা এর থেকে বেশি কিছু আশা করি না।

Latest article