সংবাদদাতা, বোলপুর : আধিকারিকদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। শনিবার তাঁর হাতে আবাস যোজনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তুলে দিলেন বৈঠকে উপস্থিত বিভাগীয় আধিকারিকরা। সমস্ত তথ্য হাতে পেয়েও সুপুর রাইপুর পঞ্চায়েতের কাকুটিয়া গ্রামে উত্তেজনা ছড়াতে ছুটলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু গ্রামের মানুষের সাড়া না পেয়ে নিরাশ হয়ে কাকুটিয়া মন্দিরে প্রণাম সেরেই বোলপুরে ফিরে যান তিনি। জেলায় দু’দিনের সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-সমন্বয়ের জেলা নদিয়ায় সঙ্কীর্ণতার ঠাঁই নেই, নাকাশিপাড়ার জনসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য
এই দু’দিনে জেলার যুবমোর্চা, আইটি সেল সহ অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক আছে তাঁর। বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এখনও বুথ কমিটি গঠন করতে পারেনি। তাছাড়াও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। সেই সব সামলাতে এসেছেন তিনি। উল্লেখ্য, বোলপুর প্রশাসনিক ভবনে এদিনের বৈঠকে ডেপুটি পঞ্চায়েত অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার রত্নদীপ দাস সহ অন্য আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে আবাস সংক্রান্ত যা যা তথ্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চেয়েছিলেন তা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু জেলাশাসক বিধান রায়, মহকুমা শাসক অয়ন নাথ সহ অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল।
আরও পড়ুন-ব্যর্থতাকে ঢাকতেই বিজেপি এখন চাইছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
অভিযোগ, উচ্চপর্যায়ের আধিকারিক না থাকায় বৈঠক হয়নি। যদিও, ডেপুটি পঞ্চায়েত অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার রত্নদীপ দাস জানান, এক ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি যা যা চেয়েছেন, তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠক খুব ভাল হয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট। এব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি সন্ন্যাসী মণ্ডল বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে জেলাশাসক সময় না দেওয়ায় কোনও বৈঠক হয়নি। যদিও জেলাশাসক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন কাজ ছাড়াও এই মাসের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন, সেই কারণে খুবই ব্যস্ততার জন্য যেতে পারিনি। তবে বৈঠক হয়েছে। সমস্ত তথ্য তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন বিভাগীয় আধিকারিকরা।