বড় সাফল্য বাংলার! ২৩ মাস বয়সী শিশুর মেরুদণ্ডে সংক্রমণের ফলে সুষুম্নাকাণ্ডের পাশে জমে গিয়েছিল পুঁজ। সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার না করলে অস্বাভাবিকতা নিশ্চিত। কিন্তু শিশু বলে তার অস্ত্রোপচার বেশ কঠিন। এমতাবস্থায় সিএমআরআই হাসপাতালের চিকিৎসক অভীক ভট্টাচার্যের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় ফের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেল শিশুটি। শিশুটিকে দেখার পর চিকিৎসকদের তরফে জানান হয়, মেরুদণ্ডের মধ্যে সুষুম্নাকাণ্ডের পাশে একটি বড় সংক্রামিত স্থানে পুঁজ জমে যায়। সার্জারির কথা না ভেবে ইন্টারভেনশনাল রেডিয়োলজি ও ক্যাথিটার ড্রেনেজের মাধ্যমে সেই পুঁজ বের করে আনা হয়।
আরও পড়ুন-বস্তারে কোবরাদের নতুন ‘অপারেশন’ শুরু, ‘টার্গেট’ শীর্ষ মাওবাদী নেতারা
জানা গিয়েছে, ৭ দিন ধরে মারাত্মক জ্বর, বমি বমি ভাব এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হচ্ছিল শিশুটির । এই সব লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দেখা যায়, রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেশি এবং ডেঙ্গু NS1 পজিটিভ। আবার রক্ত পরীক্ষা করে MRSA ধরা পড়ে। মস্তিষ্কে বড় ধরনের সংক্রমণের সন্দেহে এমআরআই করা হলে দেখা যায় ঘাড়ের কাছে মেরুদণ্ডের এপিডিউরাল স্পেসে সংক্রমিত পুঁজ জমে আছে। শিশুর বয়স এবং পুঁজের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে একটি ন্যূনতম কাটাছেঁড়ার পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছিল। শিশুর পিঠের দিকে একটি পিনহোল ছিদ্র করে মেরুদণ্ডের এপিডিউরাল অ্যাবসেসের মধ্যে একটি পাতলা ক্যাথিটার চালান করা হয়েছিল। এই ক্যাথিটার দিয়েই বেশিরভাগ পুঁজ বের করা হয় এবং বাকি জমাট পুঁজ নিষ্কাশনের জন্য ক্যাথিটারটি রেখে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-ধর্ষণে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে যোগীর বাসভবনের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর
ঘটনার ২ দিন পর এমআরআই-তে দেখা যায় সমস্যা আর নেই। পুঁজের কালচার করে MRSA পাওয়া গিয়েছিল। তাই তাকে দীর্ঘমেয়াদী অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বর্তমানে শিশুটির অবস্থার উন্নতি হয়েছে।