উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে লাগামছাড়া সন্ত্রাস চলছে ত্রিপুরায়। ভূ-ভারতে আগে কেউ এরকম কিছু দেখেছে বলে মনে করা যাচ্ছে না। উপনির্বাচনে প্রথম ৩ ঘন্টাতেই সন্ত্রাসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কিন্তু নির্বিকার নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তারক্ষীদের সামনেই মারধর, হুমকি দিচ্ছে বিজেপির বাইক বাহিনী।
নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য সকাল সকাল মহিলা থেকে পুরুষ, নতুন প্রজন্মের ভোটার কিংবা বয়স্ক অসুস্থ মানুষরাও ভোটের লাইনে দাড়িয়েছেন। কিন্তু চার কেন্দ্রেই গেরুয়া বাহিনীর ব্যাপক সন্ত্রাস। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন-মোবাইল প্রতারণা বন্ধে কড়া পদক্ষেপ
৬, আগরতলা কেন্দ্রে একের পর এক EVM বিকল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেক ভোটার। আবার সন্ত্রাস উপেক্ষা করে যাঁরা বুথমুখী হয়েছেন রাস্তাতেই আক্রান্ত হতে হয়েছে তাঁদের। বাদ যাননি এক পুলিশকর্মীও। দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। জখন পুলিশ কর্মী জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মহিলারদের উপরই হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
৬, আগরতলার তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবকে বুথে ঢুকতে বাধা দেন বিজেপির গুন্ডারা। সুরমা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘুরছেন। সন্ত্রাসের ছবি তুলে ধরে তাঁর দাবি, “ত্রিপুরার মানুষকে বাঁচাতে হলে। গণতন্ত্র ফেরাতে হলে অবিলম্বে রাজ্য জুড়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক।”
আরও পড়ুন-একদল পরীক্ষা দিল, আরেকদল ধরনায়, বিশ্বভারতীতে বিশৃঙ্খলা
যুবরাজ নগরের তৃণমূল প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথ এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তাঁর দাবি, “বিজেপি বিরোধী এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দিচ্ছে। ত্রিপুরায় সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। ভোটারদের উদ্দেশ্যে তাঁর আর্জি, “ভোটারদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো, যুবরাজনগরবাসী বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করছে। আজকে একটি ঐতিহাসিক দিন, এই উপনির্বাচন আগামী দিনে ত্রিপুরার ভবিষ্যত ঠিক করবে। তাই সমস্ত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আপনার গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিন”।