উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বান্দায় যৌতুক নিয়ে মতবিরোধের কারণে স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগে একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। লোকটি একটি স্করপিও গাড়ির চাহিদার জন্য তালাক দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগকারী, ২০১৫ সালে মুসলিম রীতিতে বিয়ে করেছিলেন। তিনি জানান যে তার বাবা তার বিয়ের সময় ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়েছিলেন। তবে বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি সহ পাঁচ শ্যালক অতিরিক্ত যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
আরও পড়ুন-ক্ষু.ব্ধ পড়ুয়া, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদের ডাক টিএমসিপির
ক্রমে বাড়তে থাকে চাহিদা। বিশেষ করে একটি স্করপিও গাড়ির দাবি পূরণ করা হয়নি বলেই তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন। শুধু তাই নয় মহিলাকে, দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং গত বছরের জুলাই মাসে তাকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তার বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় মহিলা জানিয়েছেন যে তার স্বামী সম্প্রতি সেখানে গিয়েছিলেন এবং যৌতুক হিসাবে একটি স্কর্পিও গাড়ির জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এমনকি তিনি অবিলম্বে তিন তালাক ঘোষণা করেছিলেন। যৌতুকের জন্য হয়রানি এবং তিন তালাকের ঘটনার জন্য তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই মহিলা। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে, এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন-নারীর সম্পত্তির অধিকার ও উত্তরাধিকার আইন
উল্লেখ্য, পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ১০ই জানুয়ারী গোয়ালিয়র থেকে তিন তালাকের একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে একজন ব্যক্তি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে ফোনে তিন তালাক দিয়ে দেন।। মহিলাটিও অভিযোগ করেছে যে তার স্বামীর প্রথম বিয়ে সম্পর্কে তার কোনও ধারণা ছিল না। নির্যাতিতা এখন তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি জনকগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। নির্যাতিতা রানী খান গেন্দেওয়ালী সড়ক এলাকার বাসিন্দা। মোরেনার বাসিন্দা ইরফান খানকে বিয়ে করেছিলেন রানি। এই অবস্থায় তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে তার আগের বিয়ে গোপন করার এবং ফোনে তাকে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্ত ইরফান খানের বিরুদ্ধে মুসলিম মহিলা (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) আইন, ২০১৯-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।