রাজ্যের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের চক্রান্ত এবং মিথ্যাচার রীতিমতো তথ্য দিয়ে বিধানসভায় প্রমাণ করে দিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। স্পষ্ট করে দিলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আসলে মিথ্যা অনিয়মের অভিযোগ আনছে কেন্দ্র। রাজ্যের খেটে খাওয়া গরীব মানুষকে বঞ্চিত করতে মিথ্যার বেসাতি শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সোমবার বিধানসভায় রীতিমত তথ্য প্রমাণ দিয়ে একথা দাবি করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা শেষে জবাবী ভাষণে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিসংখ্যান পেশ করেন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তাঁর কাছে রয়েছে। প্রয়োজনে বিরোধীরা তা দেখতে পারেন।.২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত মনরেগা প্রকল্পের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট বা টাকা ব্যবহারের সংশাপত্র, অডিট রিপোর্ট, কেন্দ্রের কাছ থেকে আসা প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠি সহ সমস্ত নথি স্পিকারের কাছে জমা দেন। এদিন কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া মোট ৬৫ টি প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠির প্রতিলিপি তিনি জমা দিয়েছেন। ভুয়ো জবকার্ড প্রসঙ্গেও বিরোধীদের তোলা অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে প্রদীপ বাবু বলেন, ২০২১ সালে ১০০ দিনের জবকার্ডের সঙ্গে আধার যোগ শুরু হওয়ার পর থেকে গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত এরাজ্যের ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ জবকার্ডধারির আধার যোগের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এসময়ের মধ্যে রাজ্যে ২২ লক্ষ্যের কিছু বেশি জবকার্ড বাতিল করা হয়েছে। যেখানে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে ৫২ লক্ষের বেশি ভুয়ো জব কার্ড বাতিল হয়েছে। তবে বিরোধী দলের কোনও সদস্যই এসময় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন না। মন্ত্রীর কটাক্ষ, সত্যি কথাটা শোনার সাহস নেই বিরোধীদের। সেকারণেই তাঁরা পালিয়ে গিয়ে মুখ বাঁচাচ্ছেন। ধ্বনিভোটে এদিন পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট প্রস্তাব বিধানসভায় গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন- শেষদিনে ধরনা মঞ্চে শপথ লোকসভায় হবে ৪২-এ ৪২