প্রতিবেদন : দেশের বর্তমান আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পৌরোহিত্যে সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) তৃণমূল স্পষ্ট করে দিল, সন্ত্রাসদমনের প্রশ্নে কোনও আপস নয়। সরকার এবং অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করবে দল। তৃণমূলের সুরেই কংগ্রেস, আপ, সপা, শিবসেনা-সহ অন্য বিরোধী দলগুলিও সরকারের সঙ্গে একজোট হয়ে লড়তে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়ে দেয়। কিন্ত পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাস-হামলার প্রত্যাঘাতের পর কেন্দ্রের ডাকা সর্বদল বৈঠকে কেন প্রধানমন্ত্রী মোদি উপস্থিত হননি? এ-নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন রাজনাথ সিংকে বৈঠকে পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী শুধু বার্তা দিলেন? বিরোধী দলগুলির তরফে আগাগোড়াই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সর্বদল বৈঠকের (All Party Meeting) দাবি জানানো হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে স্বল্পকালীন সংসদ অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দেয় তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। তৃণমূলের এই প্রস্তাবের পরেই কংগ্রেসও বিশেষ অধিবেশনের প্রস্তাব দেয়।
রাজনাথ সিং অপারেশন সিদুঁরে ভারতের প্রত্যাঘাতের বিবরণ তুলে ধরেন সর্বদল বৈঠকে। পহেলগাঁও সন্ত্রাস হামলার পাল্টা এই প্রত্যাঘাতে ১০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি। অপারেশন সিঁদুর এখনও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন- বাজারে আনতে হবে হাঁসের মাংস, কমাতে হবে দাম, বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী