প্রতিবেদন : একদিকে ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে ছিন্নভিন্ন গাজা ভূখণ্ড হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন, মানবতার সংকট আরও তীব্র হচ্ছে, তার মধ্যেই এবার সিরিয়ায় বিমানহানা চালাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার পূর্ব সিরিয়ায় আক্রমণ হানে আমেরিকা। দু’টি এফ-১৫ যুদ্ধবিমানের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। এই নিয়ে গত দু’সপ্তাহে দু’বার সিরিয়াকে নিশানা করল বাইডেনের দেশ।
সর্বশেষ হামলার প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব অস্টিনের দাবি, জঙ্গিদের অস্ত্রাগার ধ্বংস করতেই হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্য, ইরান থেকে অস্ত্র পাচার করে সিরিয়ার এই অস্ত্রাগারে রাখা হত। এইসব অস্ত্র যাতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করা হয় সেজন্যই এই আক্রমণ। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, ইরান যেভাবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক স্তরে ক্ষোভ উসকে দিয়ে হামাসের হাত শক্তিশালী করতে চায় তাই পরিকল্পিত কূটনৈতিক কৌশলেই সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান। এক্ষেত্রে ইরানকেও কড়া বার্তা দিল মার্কিন প্রশাসন। পাশাপাশি ইজরায়েলের পাশে যে পুরোদস্তুর রয়েছে আমেরিকা, সে বার্তাও দেওয়া হল। এদিকে লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবুল্লাও (Iran- Hizbullah) চলতি পরিস্থিতিতে হামাসের হাত শক্ত করতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে। আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে হেজবুল্লা মুখপাত্র বলেছেন, প্যালেস্টাইনের সঙ্গে ইউক্রেনকে এক করে ফেললে চলবে না। বাইরের কোনও শক্তি যদি ইজরায়েল-হামাস সংঘাতে নাক গলানোর চেষ্টা করে তা হলে উপযুক্ত জবাব পাবে। অন্যদিকে ইজরায়েল সেনাবাহনীর আধিকারিকের দাবি, গাজায় হামাসকে অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান (Iran- Hizbullah)। সিরিয়া দিয়ে ওই অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি হামাসের পাশে থাকার জন্য হেজবুল্লাকে তাতিয়ে দিয়ে তাদেরও যুদ্ধের রসদ জোগাচ্ছে। ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের যে জাল বিছানো রয়েছে তার মাথা ইরান। অক্টোপাসের মতো সেই সন্ত্রাসের একটি হাত যদি হয় হেজবুল্লা, অন্যটি তাহলে হামাস।
আরও পড়ুন- গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গে অস্ত্রভাণ্ডার