প্রতিবেদন: আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। হাজারো কন্ঠে আওয়াজ উঠেছে, ‘কোনও ভয় নেই, অভিবাসীদের স্বাগত আমেরিকায়।’ ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক কিংবা সানফ্রান্সিসকো- একই ছবি সব জায়গায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুটছে মানুষ। শনিবার থেকেই পথে পথে লাখো মানুষের ভিড়। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটেই চলেছেন। স্লোগান উঠেছে, আমেরিকায় কোনও রাজা নেই। বিক্ষোভ শুরু হয়েছে টেসলাকর্তা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও।
মাত্র ৪ মাস হল দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এর মধ্যেই তাঁর আচরণে ফুঁসে উঠছেন সাধারণ মানুষ। এবারের দ্বিতীয় দফার বিক্ষোভ তারই পরিণতিতে হয়ে উঠেছে আরও ঝাঁঝালো। অভিবাসীদের বিতাড়নে চরম নিষ্ঠুরতা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মী ছাঁটাই, এমনকি গাজার ক্ষেত্রেও যে নীতি নিয়েছেন ট্রাম্প, তা অনেকেরই না পসন্দ। এই ক্ষোভেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মিছিলে মিছিলে। তাছাড়া মার্কিন নাগরিকদের একটা অংশ মনে করছেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে অত্যাচারী হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প। এই অত্যাচার বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে মার্কিন জনতা। রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করা এবং বিতর্কিত শুল্কনীতি আরও উস্কে দিচ্ছে ট্রাম্প বিরোধী ক্ষোভের আগুনকে।
আরও পড়ুন-রাজস্থানে দলিত যুবকের গায়ে প্রস্রাব মদ্যপদের
কারা অংশ নিচ্ছে এই বিক্ষোভ মিছিলে? ৫ এপ্রিল বিক্ষোভের প্রথম দফা থেকেই মূলত বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, নাগরিক অধিকার সংগঠন, প্রান্তিক লিঙ্গ- যৌনতার মানুষের সংগঠন এগিয়ে এসেছে বিশেষভাবে। এছাড়া রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মীরা তো আছেনই। ৫০টি স্টেটের মোট ১৫০টিরও বেশি গোষ্ঠীর তৎপরতায় ১২০০টিরও বেশি এলাকায় ডাক দেওয়া হয় ‘ হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভের। লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন, কলোরাডো, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্কের রাস্তায় এবার ধ্বনি উঠেছে, ফ্যাসিবাদ চলবে না আমেরিকায়। শনিবার থেকে সবমিলিয়ে অন্তত ৭০০-র বেশি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন মুলুক।