প্রতিবেদন: ট্রাম্পের নির্দেশে লোহিত সাগরের তীরে বোমাবৃষ্টি করল আমেরিকান সেনা। ইয়েমেনে এই হামলায় শনিবার মহিলা ও শিশু-সহ কমপক্ষে ৩১ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা সূত্রে। মার্কিন সামরিক বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় হাউথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে দুটি ড্রোন, একটি হাউথি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন এবং তিনটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হামলার মধ্যে দিয়ে ইরানকেও কড়াবার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাষায় তাঁর হুঁশিয়ারি, আপনারা থামুন, না হলে আকাশ থেকে নরকবর্ষণ হবে।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানে গুলিতে ঝাঁঝরা লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কম্যান্ডার আবু কাতাল
কিন্তু কেন এই হামলা? তার আগে দেখে নেওয়া যাক ইয়েমেনের ভৌগোলিক অবস্থান। পশ্চিম এশিয়ার একপ্রান্তে সৌদি আরবের দক্ষিণে এই ইয়েমেন। বলা যেতে পারে ছোট্ট একটা দেশ। একদিকে লোহিত সাগর, অন্যদিকে এডেন উপসাগর। জলপথে যাতায়াত করা বাণিজ্যতরীগুলোর আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ইয়েমেনের হুথিরা। জাহাজ আক্রমণ করে বাণিজ্যে বাধা দেয় তারা। সেই কারণেই হুথিদের সমঝে দিলেন ট্রাম্প। ইরানকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি, এখনই বন্ধ করুন হুথিদের সমর্থন করা। ইরান থেকে আমেরিকায় কোনও হুমকি এলে ফল ভাল হবে না। দায়ী থাকবেন আপনারাই। এর আগে, ইরান-সমর্থিত হাউথি আন্দোলন জানিয়েছে, তারা বুধবার লোহিত সাগরে একটি কন্টেনার জাহাজ এবং এডেন উপসাগরে দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারে আক্রমণ করেছে। হাউথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এর আগে বলেছিলেন যে হাউথি বিমানবাহিনী বুধবার মার্কিন ডেস্ট্রয়ার কোলের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালিয়েছে এবং মার্কিন ডেস্ট্রয়ার লাবুনে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।