প্রতিবেদন : সল্টলেকের হোটেলে বসে কীভাবে বাগুইআটির (Baguiati Murder Case) দুই কিশোর অতনু ও অভিষককে খুন করার ছক তৈরি করা হয়েছিল? তা জানতে চাইছে সিআইডি। এই খুনের (Baguiati Murder Case) মাস্টারমাইন্ড সত্যেন্দ্র চৌধুুরি জেরায় যেসব কথা বলছে তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তদন্তকারী অফিসারেরা। সিআইডি মনে করে এই খুনের নেপথ্যে পেশাদারি খুনির হাত রয়েছে। খুন করার পর কোথায় দেহ ফেলা হবে তারও আগাম রেইকি করেছিল খুনিরা। যদিও সত্যেন্দ্র তদন্তকে গুলিয়ে দিতে নানান গল্প ফাঁদছে। কারণ এক, মাত্র ৫০ হাজার টাকার জন্য দু’জনকে খুন— তা মেনে নেওয়া কঠিন। দুই, সত্যেন্দ্র বলছে তাকে প্রতারক বলে অপমান করত অতনু। যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এ-প্রসঙ্গে অতনুর বাবা বলেছেন, সত্যিই যদি তাকে অপমান করত তাহলে সে আমার কাছে কেন অভিযোগ জানাল না? মৃত ওই দুই কিশোরের পরিবারের দৃঢ় বিশ্বাস এই খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। তদন্তকারী সিআইডি অফিসারদের অভিমতও তাই। এই খুনের মোটিভ বের করতে তাঁরাও বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। যে গাড়িতে করে দুই কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার চালক এখনও বেপাত্তা। গোয়েন্দারা সেই চালকের হদিশ পেতে তৎপর। ইতিমধ্যেই সত্যেন্দ্রর সহযোগী অভিজিৎ বোসের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে সত্যেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কে এই সত্যেন্দ্র? তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। তার জীবনযাপন থেকে শুরু করে আর্থিক দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যেন্দ্রর আত্মীয়পরিজনদের থেকেও তথ্য নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এই খুনের পিছনে সত্যেন্দ্রর পারিবারিক জীবনও কাজ করে থাকতে পারে। বিশেষ করে তার স্ত্রীকে ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠেছে। এসব দিকও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন-৫ দিন নিখোঁজ টাকির দুই ছাত্রী