প্রতিবেদন : আবারও দাঁত-নখ বের করে রাজ্য সরকারকে কুৎসিত আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor Bose)। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপির হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি৷ বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে সার্কিট হাউসে সর্বদল বৈঠকের নামে ঘোঁট-বৈঠক করেছেন। সেখানে পাহাড়ের বিজেপি সাংসদ ও একসময় পাহাড়ে অচলাবস্থা তৈরি-করা বিমল গুরুংয়ের লোকজন-সহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন রাজ্যপাল। ভোটের মুখে বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নিজের পদমর্যাদা ভুলে নির্লজ্জ ক্যাডারের ভূমিকায় নেমেছেন তিনি। আসলে সীমা ছাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল (Governor Bose)। এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল বলেছেন, গণতন্ত্রের পাহারাদারের হাতে যেন গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা না বাজে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের কথাও তোলেন তিনি। এদিন যেভাবে যে কায়দায় রাজ্যপাল এই মন্তব্য করেছেন তা দলবদলু গদ্দারের মুখে শোনা যায়। তারই প্রতিধ্বনি রাজ্যপালের মুখে! ছিঃ। তাঁকে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যপাল রাজধর্ম পালন থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। এবং বিজেপির দলদাসের ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর কথায়, রাজ্যপাল ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজভবনের অপব্যবহার করছেন। রাজভবনের নামে নিজের বই ছাপিয়েছেন, যা করা যায় না। এর তদন্ত চেয়ে রাজভবনের সচিবকে চিঠি দিয়েছি। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই এ-সব উলটো-পালটা বকছেন তিনি।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের প্রচারে আজ রোড-শোয়ে অভিষেক
রাজ্যপাল বলেছেন, বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা অভিযোগ করেছেন, পাহাড়ে নাকি তাঁদের প্রার্থীদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেককে মনোনয়ন জমা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা রাজ্যপালকে একটি অডিও শুনিয়েছেন। এরপর আনন্দ বোস বলেন, এসব মেনে নেওয়া যায় না। কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। এর পাল্টা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, নির্বাচনের মুখে রাজ্যপাল বিরোধীদের হাত কীভাবে শক্ত করা যায়, অত্যন্ত গভীর পক্ষপাতদুষ্ট হিসাবে এই ধরনের একটা বিকৃত আচরণ করছেন। তাঁর সংযোজন, রাজ্যে ৭৩ হাজার বুথের মধ্যে ৫-৬টাতে বিরোধীরা গন্ডগোল করছে। তৃণমূলের রক্ত ঝরছে। রাজ্যপাল এখনও কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের নিহত কর্মীর বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। পাহাড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য দলগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছেন, ডাকছেন, কথা বলছেন। সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে চাইছেন। মুখোশের আড়াল থেকে রাজ্যপালের আসল হিংস্র চেহারা বেরিয়ে পড়েছে।