প্রতিবেদন : বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশে দলিতদের খুন-ধর্ষণ চলছেই (Uttar Pradesh Dalit woman raped)। হাথরাস, উন্নাও এখনও দেশবাসী ভুলে যায়নি। এবার যোগীরাজ্যের বান্দায় দলিত মহিলাকে ধর্ষণের পর দেহ টুকরো-টুকরো করে কেটে ফেলল দুষ্কৃতীরা। উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। খুন-জখম-রাহাজানি নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রাজকুমার শুক্ল এবং তার ২ শাগরেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি যোগীর পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই নিন্দা এবং সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে। প্রশ্ন উঠেছে, হাথরাসের মতো একের পর এক ঘটনা কীভাবে অবাধে ঘটে চলেছে শুধুমাত্র যোগীরাজ্যেই? বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে আইআইটি ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনার ঘা এখনও দগদগে। তার উপর আবার এই ঘটনা। কী উত্তর দেবে বিজেপি? গেরুয়া শিবিরের আর মুখ লুকানোর জায়গা আছে কি? এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। তীব্র ধিক্কার জানিয়ে মন্তব্য করেছে, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলাদের প্রতি অত্যাচার রোজকার ঘটনা হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্যাগ করে প্রশ্ন করা হয়েছে, রাজ্যের কোনও প্রান্তেই কি মহিলারা সুরক্ষিত এবং নিরাপদে থাকতে পারবেন না? প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বিজেপির শাসনে মহিলাদের নিরাপত্তার কি আদৌ কোনও গুরুত্বই নেই?
ঠিক কী হয়েছিল বান্দায়, গিরোয়ানের পুলিশ তদন্তে নেমেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শুক্ল একটি আটাকলের মালিক। সেই আটাকল পরিষ্কার করার কাজ করতেন বছর চল্লিশের ওই দলিত মহিলা। মঙ্গলবারও সেখানে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মেয়ের বয়ান অনুযায়ী, ঘরের ভেতর থেকে আচমকাই ভেসে আসে মায়ের আর্তচিৎকার। বন্ধ দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই বীভৎস দৃশ্য। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। তার মধ্যেই পড়ে রয়েছে মায়ের খণ্ডিত দেহ। প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে ধর্ষণেরও (Uttar Pradesh Dalit woman raped)। এবং তারপরে খুন। মূল অভিযুক্ত রাজকুমার, তার ভাই বাউয়া এবং রামকৃষ্ণ ফেরার।
আরও পড়ুন- গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে দিল্লি, এখন কোথায় কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রী? খোঁচা আপের