প্রতিবেদন : আবার উত্তরপ্রদেশ। আবার যোগীরাজ্য। আবার বর্বরোচিত ন্যক্কারজনক ঘটনা। প্রথমে ধর্ষণ। তারপর অন্তঃসত্ত্বাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হল। পাশবিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরীর (Uttar Pradesh Mainpuri Rape) কুরাবালি এলাকায়। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল, এই নারকীয় ঘটনার পরেও এক জনকেও গ্রেফতার করেনি যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ।
এটাই এখন ডবল ইঞ্জিন সরকারের আসল চরিত্র। প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। নিরাপত্তা ভূলুণ্ঠিত। মহিলাদের সুরক্ষা নেই। আর সেই বিজেপিই কি না সমালোচনা করে বাংলা-সহ অন্য রাজ্যের। যে রাজ্যগুলিতে শান্তি, সৌহার্দ্য এবং আইনের শাসন রয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপির দোসর পরিষদের প্রকাশ্যে ঘৃণার রাজনীতি
মাস তিনেক আগে মইনপুরী (Uttar Pradesh Mainpuri Rape) এলাকায় খুন হওয়া নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল অভিষেক নামে অভিযুক্ত যুবক। যার পরিবার বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। নাবালিকা সামাজিক অসম্মানের ভয়ে ঘটনাটি চেপে গিয়েছিল। কিন্তু মাস তিনেক পরে অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে গেলে জানা যায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। পারিবারিক চাপে কিশোরী অভিষেকের নামও বলে। এরপর পঞ্চায়েত বসে এ-নিয়ে বিচার করার জন্য। ৬ অক্টোবর সালিশি সভা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় কিশোরীকে বিয়ে করবে অভিষেক। এরপরেই চূড়ান্ত পরিণতি। অভিযুক্তর মা বিয়ের কথাবার্তা বলার অছিলায় কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পরেই কিশোরীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রবল চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। উদ্ধার করে হাসপাতালে দেওয়া হয়। মইনপুরী জেলা সদর হাসপাতাল থেকে সাইফই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই শনিবার রাতে কিশোরীর মৃত্যু হয়। তারপরই শুরু হয় তোলপাড়। তবে যোগী প্রশাসনের তাতে কিছু যায় আসে না। অভিষেক আর মায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হলেও তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। নারকীয় ওই ঘটনার পরে প্রশাসনের কোনওরকম হেলদোল লক্ষ্য করা যায়নি।
যোগীরাজ্যে একের পর এক ঘটনা। হাথরস উন্নাওয়ে ধর্ষণ করে খুন। লখিমপুর খেরিতে বিজেপির মন্ত্রীর ছেলে ধরনার মধ্যে গাড়ি চালিয়ে চারজন কৃষককে খুন করল। প্রতিদিনই সেখানে মহিলাদের উপর অত্যাচারের খবর গোটা দেশকে শিহরিত করছে। তারপরেও এই বিজেপি আঙুল তুলছে অন্য রাজ্যের দিকে। লজ্জা, ঘৃণা এবং আত্মসম্মান বিকিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।