প্রতিবেদন : অ্যাডভেঞ্চারের নেশাই সবকিছু ওলট-পালট করে দিল। কেড়ে নিল ৫টি তরতাজা যুবকের প্রাণ। নিখোঁজ আরও এক। উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে প্রাণটাই খোয়াতে হয়েছে কালীঘাটের শুভায়ন দাস-সহ সৌরভ ঘোষ, তনুময় তিওয়ারি, বিকাশ মাকাল, রিচার্ড মণ্ডলের। সোমবার সকালে উত্তরাখণ্ড থেকে তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফিরেছে দমদম বিমানবন্দরে। তাঁদের আরেক সঙ্গী সুখেন মাজি এখনও নিখোঁজ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : প্যারিসে তরুণ শিল্পোদ্যোগীর বই প্রকাশ
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমানবন্দরে হাজির ছিল বিধাননগর পুলিশ। ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বিডিও। নিহতদের ৫ জনের মধ্যে শুভায়ন ছাড়া বাকি মৃত চার অভিযাত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। এদিন সকাল ৮টা ১৫ নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামে ইন্ডিগোর ৬সি২৩৪৬ বিমানটি। তাতে ছিল তিনজনের দেহ। এরপর সকাল ১০টায় বাকি ২ জনের দেহ নিয়ে অবতরণ করে ৬ই৫৫৭৩ বিমান। কালো কফিনবন্দি ৫টি দেহ একসঙ্গেই বেরিয়ে আসে বিমানবন্দর থেকে। আগে থেকেই বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন নিহতদের পরিবারের শোকস্তব্ধ সদস্যরা। প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়ে প্রিয়জনদের নিথর দেহ নিয়ে ফেরেন বাড়ির উদ্দেশে। উল্লেখ্য, চলতি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন বাংলার ৬ জন অভিযাত্রী। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে পাঁচজনেরই মৃত্যু হয়। সুখেন মাজি এখনও নিখোঁজ।