ছুটি বাতিল, রাত জেগে আবাস যোজনার কাজ

বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করতে এখন থেকে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতর শনি, রবিবার ছুটির দিনে খোলা রাখা যেতে পারে।

Must read

প্রতিবেদন : সময়সীমার মধ্যে গ্রামীণ সড়ক যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে রাত জেগে কাজ করে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে ওই কাজ করার শেষ করার জন্য সব জেলাকে নির্দেশ দিল নবান্ন। বলা হয়েছে, বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করতে এখন থেকে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতর শনি, রবিবার ছুটির দিনে খোলা রাখা যেতে পারে।

আরও পড়ুন-গো ব্যাক? মন্ত্রী সুভাষের লাথি দলীয় কর্মীকেই!

একশো দিনের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য এখনও আটকে রেখেছে কেন্দ্র। গ্রাম সড়ক ও আবাস যোজনার কাজেও কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, গ্রামীণ আবাস যোজনায় মার্চ মাসের মধ্যে বকেয়া ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শেষকরতে কেন্দ্রের তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে। দেরিতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মেলায় গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির কাজও বকেয়া রয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যথেষ্ট কঠিন। সেই কারণে এই নির্দেশ।

আরও পড়ুন-অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পরেই পঞ্চায়েত প্রস্তুতি, শুক্রবারেই বীরভূমে প্রথম সভা

তিনি বলেন, ‘‘আমরা জেলাশাসকদের খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছি। আবাস যোজনায় পুরনো যেসব বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল একমাসের মধ্যে তার প্রথম কিস্তির টাকা দিতে হবে। আমরা এখন শীত ঘুম ঘুমালে গরিব মানুষ বঞ্চিত হবে। কেন্দ্র তখন বলবে, আমরা টাকা দিলাম তোমরা করতে পারলে না। আমরা দরকার হলে রাত জেগে কাজ করব।’’ আগামী সোমবার জেলাওয়ারি আবাস যোজনার কাজ পর্যালোচনা করতে জেলাশাসকদের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে বসছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সেখানে তাঁদের বকেয়া কাজ অনুযায়ী শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

গ্রামীণ সড়ক ও আবাস যোজনায় নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বকেয়া কাজ শেষ করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী শুক্রবারই সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি নির্দেশ দেন, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের কাজ ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। প্রশাসনিক সূত্রের মতে, কাজটা কঠিন। কারণ, গত মার্চে যে-কাজ শুরু করার কথা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার আট মাস টাকা আটকে রাখায় এখন তা শুরু হবে। এত অল্প সময়ে ১১.৩৬ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করা এখন রাজ্য সরকারের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ বলে তাদের অভিমত। নবান্নের এই নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিডিও দফতর শনি, রবিবার সাধারণ রাজের দিনের পুরো সময় খোলা থাকবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছেন জেলাশাসক।

Latest article