নয়াদিল্লি : কোনও সংস্থা জোর করে তাদের কোনও কর্মীকে কোভিড ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করতে পারবে না। জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লির এক সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, কোনও সংস্থাই জোর করে ভ্যাকসিন চাপিয়ে দিতে পারবে না। কোভিড মহামারীর সময় গোটা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংস্থায় ভ্যাকসিন না নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকা ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করলে তাঁকে স্কুলে ক্লাস করতে দিতে অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। এমনকী বলা হয়, কোভিড টিকা ছাড়া স্কুলের অন্যান্য কাজও তিনি করতে পারবেন না। বাধ্য হয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেন ইতিহাসের ওই শিক্ষিকা। এরপর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভ্যাকসিন নিতে জোর করছিল বলে তিনি স্কুলে যাননি। যতদিন তিনি স্কুলে যেতে পারেননি, ততদিনের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা তাঁকে দিতে হবে।
আরও পড়ুন-বসে যাচ্ছে নৈনিতাল, হৃষীকেশও! আতঙ্ক
শিক্ষিকার এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে কোনও সংস্থা কর্মীদের ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করতে পারে না। যে সময় শিক্ষিকা স্কুলে যেতে পারেননি, সেই সময়ে চাকরির সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, কোভিড ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। জানিয়েছিলেন, আমার শরীর, আমি ভ্যাকসিন নেব কি নেব না, তা ঠিক করার অধিকার শুধু আমার।