প্রতিবেদন : রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্প জেলার প্রত্যন্ত আদিবাসী ও তফসিলি জাতি-উপজাতি মেয়েদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্যের হার বাড়িয়েছে বলে মনে করেন সিউড়ির স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সব এলাকায় সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা এখন শহরের পড়ুয়াদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। এক সময় জেলার প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকার পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়া শুরু করলেও পারিবারিক অনটন ও সচেতনতার অভাবে স্কুলছুট হত অল্প দিনেই। কম বয়সে নাবালিকাদের বিয়েও দিয়ে দিতেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প আদিবাসী পরিবারের আর্থিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। ছেলেমেয়েদেরও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।
আরও পড়ুন-যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক আর নয় ব্যবহারে রাশ টানছে স্বাস্থ্য দফতর
ফলে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলগুলিতেও পড়াশোনার হার বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হারও। রাজনগর ব্লক এবং তার ঝাড়খণ্ড সীমানার ভুতুরা পঞ্চায়েত এলাকা, মহম্মদবাজার ব্লকের পাথরখাদান এলাকায় প্রচুর আদিবাসী এবং তফসিলি জাতিভুক্ত বাসিন্দাদের বসবাস। এই সব এলাকার পড়ুয়াদের কন্যাশ্রী ও সবুজসাথী প্রকল্পের কারণে পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ছে। রাজনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৪৫ জনের মধ্যে ৩১ জন পাশ করেছে মাধ্যমিকে। রাজনগরের জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমলকুমার পালের মতে, আগের তুলনায় এই স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ার কারণ কন্যাশ্রী প্রকল্প প্রায় সকলেই পায়। আমাদের স্কুলের মাধ্যমিক দিয়েছিল ৪৮ জন। পাশ করেছে ৩৬ জন। ভবানীপুর শম্ভুনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মাধ্যমিকে পাশের হার ৯৩ শতাংশ। ১১৭ জনের মধ্যে ১১৪ জন পাশ করেছে।