প্রতিবেদন : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অসত্য কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কোনও অনুরোধ করেননি। তিনি যা বলছেন তা আসলে মিথ্যাচারের নামান্তর এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা। তাঁর কাছে প্রমাণ থাকলে তা পেশ করুন। কড়া ভাষায় মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya basu)। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে জলঘোলা শুরু করেন উপাচার্য। পরীক্ষা মিটে যাওয়ার পর উপাচার্য শান্তা দত্ত দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী নাম করে তাঁকে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। ব্রাত্য সে-প্রসঙ্গে শনিবার বলেন, পরীক্ষা না নেওয়ার কথা উঠছে কোথা থেকে? কোথায় জানা গেলে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন? এই মিথ্যাচার কতদিন চলবে? মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করলে ই-মেইল বা চিঠি থাকত। শিক্ষা দফতর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সংক্রান্ত কোনও মেইল বা চিঠি পাঠানো হয়নি। ব্রাত্য বলেন, ২৮ তারিখ কলকাতা-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরীক্ষা পিছনোর অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে। কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয় অনুরোধ রেখেছিল। অনেকে রাখেনি। কিন্তু উপাচার্য কেন মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করছেন? অসত্য ভাষণেরও একটা সীমা থাকা উচিৎ।
আরও পড়ুন-মুখর বাদর দিনে…