প্রতিবেদন : শিক্ষা দফতর, শিক্ষামন্ত্রী ও সর্বোপরি রাজ্য সরকারকে বদনাম করার জন্য এবার এআই-কে ব্যবহার করা হল কুৎসিত ভাবে। একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, যাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং সেখানকার ইরেজির অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলের কথোপকথন রয়েছে। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম নিয়ে অনৈতিক কিছু বিষয় রয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শুধুমাত্র কুৎসা করার জন্য এআই দিয়ে উপাচার্যর গলা নকল করা হয়েছে। আর তাঁর মুখ দিয়েই আপত্তিজনক কথাবার্তা বলানো হয়েছে। যাতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে কালিমালিপ্ত করা যায়। সবথেকে বড় কথা, এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল করেছেন অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল নিজেই। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উপচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য স্পষ্ট জনিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত।
আরও পড়ুন-ফের নতিস্বীকার, সার-সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত কমিশনের
তাঁর বক্তব্য, এটি এআই টেকনোলজি ব্যবহার করে তাঁর গলা নকল করা হয়েছে। উপাচার্যের কথায়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর সাহায্যে এই অডিও ক্লিপটি তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে। কেননা, ওই অডিও ক্লিপে যে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে, আমি কোনওদিন সেই বিষয়ে বা তার অনুরূপ কোনও বিষয়েও কারও সঙ্গে ফোনে বা প্রকাশ্যে কোনও কথা বলিনি। আমার স্বর যম্ভবত যান্ত্রিক উপায়ে নকল করে সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হয়েছে— যাতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং আমার একটি কাল্পনিক বিরোধ জনসমক্ষে হাজির করা যায়। এই কাজ রাজ্যের শিক্ষা দফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয়— উভয়ের পক্ষেই সম্মানহানিকর এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমি ইতিমধ্যেই (৩ তারিখ যাদবপুর থানা ও সাইবার নিরাপত্তা দফতরে, ৪ তারিখ ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে ডিসি সাইবারে, ৫ ডিসেম্বর জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের কাছে) ঘটনার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছি। কারা এর পিছনে জড়িত আছে, কারা ঠিক কোন উপায়ে এবং স্বার্থে এই জঘন্য মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছি এবং তার পরে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি প্রশাসনের কাছে। ফেক বা মিথ্যা খবরের যে ভয়াবহ কুপ্রভাব আমাদের সমাজে এখন ছড়িয়ে পড়ছে এই ঘটনায় তা আবার সামনে এল।
উপাচার্যের বক্তব্য, দীর্ঘ সময় বাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য পেয়েছে। আমরা সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা পড়ে-থাকা কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশের মানুষ মিলে অগ্রগতির নতুন রাস্তা গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমি কাজে যোগ দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই একটি স্বার্থান্বেষী অংশ এইভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলার কাজে অত্যুৎসাহী হয়ে উঠেছে।

