কলকাতা পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট নির্যাতিতার পরিবার, রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

তার আগে রাজ্য সরকার, সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

Must read

কসবা কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের তদন্তে আপাতত সন্তুষ্ট নির্যাতিতার পরিবার। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এসআইটি-র (SIT) তদন্তে তাঁরা আস্থা রাখছেন। রাজ্যের তরফে আদালতে এদিন ১৬৪ ধারায় নির্যাতিতার জবানবন্দির সিলমোহর করা কপি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দেওয়া হয়েছে। তবে, এদিনের মামলার শুনানিতে জনস্বার্থ মামলা সংক্রান্ত এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীরা। রাজ্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে একটি সিল করা কভার রিপোর্ট ও হলফনামা জমা দেন।

আরও পড়ুন-অ্যাপলের নতুন অপারেশনস প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবিহ খান

বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য শুধু নির্যাতিতার পরিবার দেখতে পারবেন। সংবাদমাধ্যম কিংবা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষকে এই তথ্য দেওয়া যাবে না। সমস্ত নথি আদালতের নিরাপদ হেফাজতে থাকবে।

এদিন রাজ্য এই মামলার শুনানিতে জানায়, তদন্তের অগ্রগতির পরবর্তী রিপোর্ট চার সপ্তাহ পরে জমা দেওয়া হবে। এর মধ্যে মামলার কেস ডায়েরিও খতিয়ে দেখা হয়েছে।

আরও পড়ুন-কলকাতা পুলিশের বড় সাফল্য, কানাডা পাঠানোর আগেই উদ্ধার অপহৃত পাঁচ গুজরাতি

এই মামলায় জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী সৌম্য শুভ্র রায় অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের অতীতের এক পুলিশ মামলা তুলে ধরে বলেন, কসবা থানার ওসি সেই বিষয়ে রিপোর্ট দিলেও, সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও হলফনামা দেয়নি। এদিনের শুনানিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও ওঠে। আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি অভিযোগ করেন, “আসামিদের কোমরে দড়ি বেঁধে পশুর মতো টানা হচ্ছে। তদন্তে একাধিক ত্রুটি রয়েছে। এই তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক।”
এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকে, তবে অভিযুক্ত নিজে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন। এর জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই।” অন্যদিকে, অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী অরিন্দম জানা জানান, “প্রায় পঞ্চাশ জন আইনজীবী অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল করেছেন। কিন্তু কেউই মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তোলেননি।”

মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ জুলাই। তার আগে রাজ্য সরকার, সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।

 

Latest article