সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) অভ্যন্তরে এবং পাশাপাশি আইনি লড়াইয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করাল ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন। শুক্রবার বিকেলে উপাসনাগৃহ থেকে লজ মোড় ও ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে উপাচার্যর বাড়ি পূর্বিতার পাশ দিয়ে গিয়ে বিজয় উৎসব হয়। প্রায় পাঁচশো পড়ুয়া মিছিলে যোগ দেন। উপাচার্যর বাড়ির সামনে স্লোগান চলে, ‘‘কমিয়ে দিয়ে ভোল্টেজ, বিদ্যুতের কমল তেজ।”
আরও পড়ুন – গরমে জলের কষ্ট থেকে মুক্তি হাওড়ার
আজকের কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের তিন দফা দাবি, ‘‘হস্টেল খোলা, অনলাইন পরীক্ষা এবং পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের পরীক্ষা পিছানো” মেনে নেওয়ায় আদালতে অবমাননার মামলা আর জোরালো থাকল না বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিচারক রাজশেখর মান্থারের এজলাসে মূল মামলা করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। এছাড়াও বিচারক মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে পড়ুয়াদের তরফে হলফনামায় তিন মামমলাকারী পড়ুয়াদের পক্ষে রায়দান হলেও তাতে বাকি পড়ুয়ারা সুবিধা পাবে বুঝতে পারে বিশ্বভারতী (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। তারপরই পড়ুয়াদের সব দাবি মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিচারক মান্থারের এজলাসেও হলফনামা জমা পড়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে। সেখানেও পড়ুয়াদের মতোই আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। কারণ তখন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে হস্টেল খোলেনি। অবশ্য এই আদালত অবমাননার কতটা গুরুত্ব থাকল তা পরবর্তী শুনানিতে বোঝা যাবে বলে ধারণা শিক্ষকদের একাংশের। তবে পড়ুয়ারা মনে করছেন, আইনের লড়াইয়ে তাঁরা জয়ী হবেন।