সংবাদদাতা, বীরভূম : সোমবার সকাল থেকে ব্রহ্মাণী নদীর উপর থাকা বৈধরা জলাধার থেকে ৩,৯৪০ কিউসেক ও ব্রহ্মাণী ব্যারেজ থেকে ৭০৯২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দেবগ্রাম ও বারুণিঘাটা কজওয়ে জলের তলায়। অন্যদিকে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বাঁশলৈ নদী। দুদিনের অতিবর্ষণে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। রবিবার রাতে ইলামবাজারের বাউড়ি পাড়ার মালতী মাল নাতিকে কোলে নিয়ে চপ-মুড়ি খাওয়ার সময় আচমকা বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে ইলামবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সিয়ান হাসপাতাল হয়ে পরে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন-পাশে আছি ওসির পোস্ট করে মুছলেন বাম কাউন্সিলর
সোমবার তিনি মারা যান। রবিবার রাতে নানুরের মুরুন্দি গ্রামে কাদু শেখের বড় মাটির বাড়ি ভেঙে আহত দুই নাবালক-নাবালিকা-সহ চারজন। আহতদের মধ্যে ১৫ বছরের একটি মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৩ বছরের ছেলে ভর্তি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। খবর পেয়ে সোমবার সকালে গ্রামে যান জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি আহতদের চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। অন্যদিকে, দ্বারকা ও কোপাই নদীর জলস্ফীতির ফলে তারাপীঠ শশ্মান, বাজারঘাট জলমগ্ন। বোলপুরের কঙ্কালীতলা মন্দিরের গর্ভগৃহে জল ঢুকেছে। বিডিও এবং প্রশাসনিক কর্তারা সেখানে পরিদর্শনে যান। প্রশাসনের তরফে সবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের সবরকম সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে।