মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা, বিজয়দিবসে স্পষ্ট জন-আবেগ

সেদিনের রাজাকার আর পাক-দালালরা মুছতে চায় ইতিহাস : হাসিনা

Must read

প্রতিবেদন : ইউনুস প্রশাসন ও মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই অরাজক বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়দিবস পালনে আমজনতার আগ্রহ ফুটে উঠল সোমবার। আগের বছরগুলির মতো না হলেও প্রশাসনিক বাধা পেরিয়ে সীমিত পরিসরেই সাধারণ মানুষ সম্মান জানালেন বাংলাদেশের বিজয়দিবসকে (Vijay Diwas 2024)।

আরও পড়ুন- ধরনা কেন বারবার ধর্মতলায় সিবিআইয়ের দফতরে কেন নয়

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরন্তর হুমকির মুখে আগের সেই উন্মাদনা হয়তো ছিল না, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাছে সোমবার সত্যিই হার মানল বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তির চোখরাঙানি। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির দিন ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়দিবস উদযাপন করতে পথে নামল বাঙালি। পৌষের কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে দলে দলে মানুষ ছুটে যায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। কারও হাতে ফুলের তোড়া, কারও কপালে জড়ানো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। আগের দিন জুতো পরে স্মৃতিসৌধে আসায় প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। জনতার আবেগ বুঝে সোমবার সকালে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন তিনিও। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি মাথা নোয়ালেন। নিজেদের দেশপ্রেম প্রমাণ করতে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন মৌলবাদীদের হাতের পুতুল কয়েকজন উপদেষ্টাও। এদিন নজর কেড়েছে কৃষক-শ্রমিক জনতা লিগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির উপস্থিতি।
এদিকে বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) প্রাক্কালেই এক বার্তায় ইউনুসকে একহাত নিয়েছেন দেশত্যাগী শেখ হাসিনা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি বিন্দুমাত্র সংবেদনশীলতা নেই ইউনুস সরকারের। তারা পারলে ভিন্ন বয়ান উপস্থাপন করে জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্র থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন মুছে ফেলত। সোনার বাংলা গড়ার যে অঙ্গীকার করে শহিদ হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, সেই লক্ষ্যকে নস্যাৎ করতে চায় রাজাকারদের উত্তরসূরি ও পাক দালালরা।

Latest article