প্রতিবেদন : কনকনে ঠান্ডা। তাই রবিবার ছুটির সকালে পোখরা বিমানবন্দর থেকে কিছুটা দূরে বাড়ির উঠোনে বসে মিঠে রোদ পোহাচ্ছিলেন বিকাশ বুস্যাল। হঠাৎ তিনি দেখেন, পোখরা বিমানবন্দরের দিকে দ্রুত নেমে আসছে একটি বিমান। বিকাশ জানিয়েছেন, বিমানটি (Nepal Plane Crash) বেশ নিচুতেই উড়ছিল। আচমকাই বিমানটি সামনের দিকে ঝুঁকে গিয়ে দ্রুত গতিতে নিচের দিকে নেমে আসে। কয়েক সেকেন্ড পরেই কাছের পাহাড়ে তিনি বিকট একটা শব্দ শুনতে পান। দেখতে পান কালো ধোঁয়া। রবিবার সকালে নেপালে যাঁরা বিমান ভেঙে পড়তে দেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে বিকাশ অন্যতম। তাঁর দাবি, আওয়াজ পাওয়ার পরই বুঝেছিলেন কিছু একটা ঘটেছে। তাই পাহাড় লক্ষ্য করে তিনি ছুটতে থাকেন। বিকাশের দাবি, বিমান (Nepal Plane Crash) ভেঙে পড়ার পর দুর্ঘটনাস্থলে তিনিই প্রথম পৌঁছেছিলেন। বিকাশ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা হয়েছে বুঝতে পেরে তিনি ঘটনাস্থলের দিকে ছুটতে থাকেন। এমনকী, পায়ে জুতো পরার মতো অবকাশও তিনি পাননি। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি দেখেন এক তরুণী জ্বলছে। তিনি কোনওভাবে ওই তরুণীকে সরিয়ে আনলেও ততক্ষণে তার শরীর অনেকটাই ঝলসে গিয়েছে। ওই তরুণীর পর তিনি আরও ১৪-১৫ জনকে ঝলসে যাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের তখনও শ্বাসপ্রশাস চলছিল। তার পরই আসে পুলিশ এবং সেনা। ছুটে আসেন আরও অনেকে। বিকাশ আরও জানিয়েছেন, তিনি যাঁদের আগুন থেকে উদ্ধার করেছিলেন তাঁদের সকলকেই হাসপাতালে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। তবে তার পর ওই যাত্রীদের কী হয়েছে সেটা তিনি জানেন না। তবে ওই যাত্রীদের প্রায় সকলের মৃত্যু হয়েছে এ কথা জানানোর পর বিকাশ আক্ষেপ করেন, তিনি কাউকেই বাঁচাতে পারলেন না।
আরও পড়ুন-শক্তিশালী পাসপোর্ট সম্পন্ন দেশের তালিকায় শীর্ষে জাপান