পর্যটনে দিশা দেখাচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত, পরিত্যক্ত জমিতে তৈরি পার্ক

বিনোদনের জন্য পার্কের দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Must read

মানস দাস, মালদহ: বিনোদনের জন্য পার্কের দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কিছুতেই মিলছিল না জায়গা। শেষমেশ গ্রামীণ হাসপাতালের পাশে পরিত্যক্ত জমি পায় ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েত। আর এই জমি সন্ধ্যা নামলেই নেশাগ্রস্তদের আনাগোনা ছিল। বসত মদ-জুয়ার আসর। সবকিছু বন্ধ করে জঙ্গল কেটে গড়ে তোলা হল সুদৃশ্য পার্ক। নাম রাখা হয়েছে ‘ভাগিনী নিবেদিতা শিশু উদ্যান’। এই পার্ক এখন বিনোদনের অন্যতম জায়গায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন-কোচবিহারের রসগোল্লা, চমচম যাচ্ছে ভিনরাজ্যে, খুশি উৎপাদকরা

প্রতিদিনই সেই মনোরম পার্কে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কচিকাঁচারা। আসছে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের মানুষও। জমিয়ে চলছে পিকনিক। সৌজন্যে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পার্ক অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। উদ্যানের আশেপাশে রয়েছে দোকান। পাওয়া যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। কেউ খুলেছে খাবারের দোকান। যাঁরা বাড়ি থেকে খাবার আনতে চান না, তাঁদের পরিষেবা দিতে প্রস্তুত এই দোকানগুলি। চাঁচল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে প্রায় দু কিলোমিটার দূরে ভিঙ্গোল। এই গ্রামের নাম আগে অনেকেই জানতেন না। খরগোশ, টারকি নানান জীবজন্তুসহ পার্কের অন্যতম আকর্ষণ পালকি। পার্কে বসেছে বিশ্ব বাংলার সুদৃশ্য লোগোও। পাখিদের কলরব, শিশুদের কোলাহলে উদ্যান যেন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ষা বসাক বলেন, গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের কথা ভেবে এই পার্ক খোলা হয়েছে। এখন জেলা, মহাকুমা এমনকী পার্শ্ববর্তী রাজ্যের বাসিন্দাদের গন্তব্য এখন এই পার্ক। সবাইকে আনন্দ দিতে তৈরি করা হয়েছে এই পার্ক।

Latest article