ভয়াবহ ঘটনা বিহারের (Bihar) পূর্ণিয়া জেলায়। ডাইনি অপবাদে একই পরিবারের ৫জনকে খুন করে পুড়িয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নৃশংস এই ঘটনার পর বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার উঠছে প্রশ্ন। ডিআইজি (পূর্ণিয়া) প্রমোদ কুমার মণ্ডল এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে পূর্ণিয়ার টেটগামা গ্রামে। কিছুদিন আগে গ্রামে একটি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপরেই সেই মৃত্যুর সঙ্গে ডাইনি সংযোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়। এরপরেই ওই পরিবারের উপর আক্রমণ করে গ্রামবাসীরা। বেধড়ক মারধরের পর মৃত্যু হলে পুড়িয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টাও করা হয়।
আরও পড়ুন-বাড়ি ফিরলেন দিল্লিতে আটক দিনহাটার ৭ জন
পরিবারটির তন্ত্রসাধনা করার সন্দেহ গ্রামবাসীদের মধ্যে এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, রবিবার তারা একই পরিবারের পাঁচ সদস্য – বাবুলাল ওরাওঁ, সীতা দেবী, মনজিৎ ওরাওঁ, রানিয়া দেবী এবং তপ্তো মোসমাতকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। গোটা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হলেন মৃত বাবুলাল ওঁরাওয়ের ১৬ বছরের নাবালক সন্তান। এই ঘটনার পর আতঙ্কে আশেপাশের বাড়ির থেকে সকলেই পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনার পর ছেলেটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং এই মুহূর্তে ঘটনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারছেন না। এখনও কোনও অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করা হয়নি। ঘটনার একদিন পর, পুলিশ ডগ স্কোয়াড নিয়ে এলাকায় টহল দেয়। গ্রামবাসীকে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে ও খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নকুল কুমার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাঁচটি মৃতদেহের মধ্যে চারটি পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বরাদ্দ ৪২ কোটি, অভিষেকের উদ্যোগে কেল্লার মাঠের সৌন্দর্যায়ন
বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব পূর্ণিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নীতিশ কুমার সরকারকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন দুই দিন আগে সিওয়ানে এক গণহত্যায় তিনজন নিহত হন। ফের বক্সারে এক গণহত্যায় তিনজন নিহত হন। ভোজপুরে এক গণহত্যায় আরও তিনজন নিহত হন। অপরাধীরা সতর্ক, মুখ্যমন্ত্রী নির্বোধ।