মঙ্গলবার পাহাড়ে গিয়ে বনধের বিরোধিতায় সরকারের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার, পাহাড়ের (Hill) বন্ধ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। আগামিকাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে । সাধারণ মানুষের স্বার্থে বন্ধক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিনয়রা।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ৫ গুণ বরাদ্দ বাড়ল
বিধানসভায় (Assembly) অধিবেশনে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় পাহাড়ে আন্দোলনের দিয়েছিলেন জিটিএর সদস্যরা। ২৪ ঘণ্টা এই অনশনের পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিংয়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। ২৩ তারিখ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। আর ওই দিন থেকে পাহাড়ে বনধের ডাক দিয়েছিলেন অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাংরা। এই নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট বলেন, আন্দোলন করার স্বাধীনতা সবার আছে। কিন্তু বনধ বরদাস্ত করা হবে না। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁরা ক্ষমতায় আসার পরে বাংলা থেকে ‘বনধ সংস্কৃতি’ বিদায় নিয়েছে। বনধ করাতে আইন হাতে নিলে, কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন-শ্মশানের সামনে খুন!
মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কোনও রকম অসুবিধা বরদাস্ত করা হবে না- কড়া হুঁশিয়ারি দেন মমতা। বলেন, “বনধ হতে দেব না। কেউ যদি মনে করে আমার পলিটিকাল প্রোগ্রাম, পাঁচ বছরে একবার বনধ করে দেখাই আমার ক্ষমতা, তবে পরিষ্কার বলে যাচ্ছি কোনও বনধ, টনধ হবে না। বনধ করলে আমরা বনধ সমর্থন করব না। কেউ রাস্তায় বসে পড়ল, আর পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারল না তার দায় কে নেবে! আমি শুনেছি পাহাড়ে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ জাগে, উন্নয়নের জন্য জাগে না। কী করে বন্ধ করা যায়, কী করে অশান্তি করা যায়। ২৩ তারিখ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে যদি কেউ আন্দোলন করতে চান, আইন মেনে চলতে হবে। আন্দোলনের অধিকার সবার আছে। কেউ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চান তবে সরকার রেয়াত করবে না। তা সে যেই হোক। পরিষ্কার বলে দিচ্ছি বনধ সমর্থন করি না। এটা আমাদের পলিসি। গত ১১ বছরে এটা করে দেখিয়ে দিয়েছি।“
আরও পড়ুন-হেরে টেনিসকে বিদায় সানিয়ার
মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া বার্তার পরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা। চাপের কথা স্বীকার না করলেও, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন এডওয়ার্ড, তামাংরা।