নয়াদিল্লি : জিএসটি বচত উৎসবের নাম করে মোদি সরকার যেভাবে গোটা দেশে হইচই শুরু করেছে, তা পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রচারমুখী নতুন মিথ্যাচার। মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়ান৷ জিএসটি ইস্যুতে কেন্দ্রের দাবি নিয়ে ডেরেকের তোপ, জিএসটি কর পরিকাঠামোর পরিবর্তনের আসল কৃতিত্ব প্রাপ্য বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির৷ কারণ, এই বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি নিজেরা বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি সহ্য করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের খাতে ন্যায্য পরিমাণ বরাদ্দপ্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত৷ এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ানের অভিযোগ, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি তাদের জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলে যেভাবে সোচ্চার হয়েছিল, তা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই জিএসটি বচত উত্সবের নামে শোরগোল তোলা হয়েছে সারা দেশে৷ এর গোটাটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ২০১৪ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদি তাঁর করা ট্ইুযটে দাবি করেছিলেন, জিএসটি সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তুতি যথাযথ নয়৷ তারা রাজ্য সরকারগুলির উদ্বেগের সমাধান করেনি৷ ডেরেকের কটাক্ষ, এই দিওয়ালিতে ‘মুখ্যমন্ত্রী মোদির’ কথা শোনা উচিত ছিল
‘প্রধানমন্ত্রী মোদির’!
আরও পড়ুন-দার্জিলিংয়ে খাদে পড়ল গাড়ি, মৃত ৪, উদ্ধার এক মা-হারা শিশু
এখানেই না থেমে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর অবক্ষয়ের ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়ান৷ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের মদতে অন্যায় পথে বিনিয়োগ টেনে নিচ্ছে তার উদাহরণ তুলে ধরতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা দাবি করেন, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাই এই অভিযোগ করেছেন৷ তামিলনাড়ুর নির্ধারিত ৬০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ গুজরাটে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে৷ তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একাধিক কোম্পানিকে গুজরাটে বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছিল৷ কর্ণাটকের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রীও একই অভিযোগ করেছেন৷ এই প্রসঙ্গেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত ১৭টি বড় প্রকল্পকে গুজরাটে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করা হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অগ্রাহ্য করে অনৈতিকভাবে রাজনৈতিক পক্ষপাতের দৃষ্টিভঙ্গিতে চলছে মোদি সরকার।