প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি কার্যত তলানিতে। একদিকে নড়বড়ে অর্থনীতি ও বিরোধীদের দমনে অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জন-অসন্তোষ বাড়ছে। অন্যদিকে বিশ্ব কূটনীতির পরিসরেও দুর্বল অবস্থান পাক-প্রধানমন্ত্রীর। তথাকথিত বন্ধু দেশগুলিও আর ভরসা করছে না শাহবাজ শরিফকে। সম্প্রতি মুসলিম দেশগুলির সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে সবার পিছনে দাঁড় করানো হয়েছিল। পাকিস্তান নিজেকে মুসলিম দেশগুলির নেতা ভেবে হম্বিতম্বি দেখালেও ইসলামিক দেশগুলির কাছে পাকিস্তানের জায়গা কোথায়, তা এই সম্মেলনের মঞ্চই বুঝিয়ে দিয়েছে পাক-প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন-মার্চেন্ডাইজিং শুরু মোহনবাগানে, জানুয়ারিতে ক্রিকেট ডে, আসছেন ’৮৩-র বিশ্বজয়ী
সম্প্রতি ১১ নভেম্বর প্যালেস্তাইন-গাজায় ইজরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সৌদি আরবের রিয়াধে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় সব মুসলিমপ্রধান দেশের শীর্ষনেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ইজরায়েলের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা, যাতে তারা গাজা-সহ অন্যান্য ইসলামিক দেশগুলিতে হামলা ও বোমাবর্ষণ বন্ধ করে। পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে নেতানিয়াহুর দেশকে রাজি করানোও ছিল সম্মেলনের আলোচ্য। এই বৈঠকে অংশ নিতে আসা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই প্রকাশিত একটি ছবি বুঝিয়ে দিচ্ছে মুসলিম দেশগুলির দৃষ্টিতে পাকিস্তানের অবস্থান কত নিচে। গাজা ইস্যুতে এই সম্মেলনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সমস্ত ইসলামিক দেশের নেতারা দাঁড়িয়ে আছেন। আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই ছবিতে সবার পিছনে দাঁড়িয়ে। এই ছবিটি নিয়ে পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞ কামার চিমার মন্তব্য, সমস্ত মুসলিম দেশ প্রমাণ করেছে যে তাদের দৃষ্টিতে পাকিস্তানের কী গুরুত্ব। অন্যান্য এশীয় দেশগুলির নেতারা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। কারণ আরব বিশ্ব তাদের পাকিস্তানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী বলে মনে করে। অথচ পাকিস্তানিরা নিজেদের পারমাণবিক শক্তিধর দেশ বলে দাবি করলেও, বাস্তব পরিস্থিতি হল সমস্ত মুসলিম দেশ মনে করে যে অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর পাকিস্তানকে যখন ইচ্ছা টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া যায়। যেভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে পিছনের সারিতে দাঁড় করানো হয়েছে এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুও প্রথম সারিতে, তা পাকিস্তানবাসীর কাছে লজ্জার।