নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূলকর্মী বিষ্ণুপদর স্মরণসভা

বিজেপি-আশ্রিত গুন্ডাদের সশস্ত্র হামলায় নিহত তৃণমূলকর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপি-আশ্রিত গুন্ডাদের সশস্ত্র হামলায় নিহত তৃণমূলকর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বুধবার নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে গদ্দারকে তৃণমূলের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, হিম্মত থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিহতের বাড়ি গিয়ে দেখান তিনি। নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির মদতদাতা পুলিশের একাংশকে হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল।

আরও পড়ুন-৮ হাজার উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে চলতি বছরে রূপশ্রীর টাকা, দুশ্চিন্তামুক্ত কন্যাদায়গ্রস্ত পিতারা

পুলিশকে হুঁশিয়ারির পাশাপাশি নিহতের বাড়ি গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন দলীয় প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ দোলা সেন ও আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। গত রবিবার বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে চড়াও হয় নন্দীগ্রামের মণ্ডল বাড়িতে। একাধিক দুষ্কৃতী মিলে কুপিয়ে খুন করে নন্দীগ্রামের তৃণমূলকর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে। তাঁর সঙ্গেই গুরুতর জখম হন দাদা তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি গুরুপদ মণ্ডল। দলনেত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার নিহত তৃণমূলকর্মীর বাড়ি যান তৃণমূল কংগ্রেসের তিন প্রতিনিধি। এদিন তাঁরা প্রথমে দেখা করেন নিহত বিষ্ণুপদ মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে। তাঁর মা, স্ত্রী, দাদা, বৌদি, ছেলে ও ভাইপোর সঙ্গে দেখা করে সান্ত্বনা জানান। সর্বতোভাবে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও পৌঁছে দেন তাঁরা। পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি একজনকে চাকরিরও প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে সামনেই এক জনসভায় নন্দীগ্রামে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হন কুণাল, দোলা ও দেবাংশুরা। কুণাল বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের পরিবারের পাশে আছেন। রাজ্য সরকার পাশে আছে। তৃণমূল পরিবারও পাশে আছে। দলনেত্রীর নির্দেশে এদিন আমরা নিহতের পরিবারকে এই বার্তাই দিতে এসেছি। আমাদের পরিবারের ভিতরে যখন এরকম একটা আঘাত এসেছে তখন দল তার দায়িত্বে নেওয়া থেকে পিছিয়ে যাবে না। তারপরই উপস্থিত কর্মী, সমর্থকদের সতর্ক করে দিয়ে কুণাল বলেন, বারবার এখানে এই ঘটনা ঘটছে। সিপিএম জমানায় সিপিএম মেরেছে। তৃণমূল মারেনি। এখন বিজেপি মারছে। তখন যাঁরা সিপিএমের হার্মাদ ছিল তারাই এখন বিজেপি হয়ে জয় শ্রীরাম বলে একই ভাবে খুন করছে, ধর্ষণ করছে। এদের অনেকে গ্রেফতার হলেও অনেকেই বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দেখতে পেলেও কোনও ভাবে হিংসার আশ্রয় নেবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। প্ররোচনায় পা দেবেন না। কোনও অভিযুক্তকে যদি প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখেন, দলকে খবর দিন, পুলিশকে খবর দিন, সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানান। কিন্তু কোনও ভাবেই আইন নিজের হাতে নেবেন না। মনে রাখবেন কোনও ঘটনা ঘটে গেলে বিরোধীরা তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।
এরপরই নন্দীগ্রামের পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়েও সরব হন কুণাল। তিনি বলেন, পুলিশ মানেই সবাই নয়, নন্দীগ্রামে পুলিশের একাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশের একাংশ সঠিক ভাবে কাজ করছে না, ন্যায়বিচার করছে না। আমরা শাসক দল, আমাদের দায়িত্ব বেশি। তাই আমাদের অনেক সংযত থাকতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাদের কর্মীরা মার খাবে। দেবাংশু, দোলারাও এ নিয়ে সরব হন।

Latest article