সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ইউনেস্কো ওয়ার্লড হেরিটেজ হিসেবে গোটা বিশ্বে একমাত্র ‘লিভিং’ বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে বিশ্বভারতীকে তকমা দেওয়ার পরই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে কুরুচিকর ও অশালীন ভাষার প্রয়োগ করলেন পাবলিক ডোমেইনে। ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী তোরণ ভাঙা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন উপাচার্য। পাশাপাশি জমি-বিতর্কে অসম্মানিত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় কটাক্ষও করেন তিনি।
আরও পড়ুন-অপরাধীর গতিবিধি ধরতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা পুলিশের
অমর্ত্য সেনকে জমি চোর বলেন উপাচার্য। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ডোমেইনে বাঙালি ও আশ্রমিকদেরও অভিযুক্ত করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, আশ্রমিকদের কেউ কেউ এই ঐতিহ্য ধরে রাখা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এর পিছনে একটি উদ্দেশ্য আছে। ভাল কাজ থেকে তাঁরা বিরত করতে চান। উপাচার্যের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কয়েকজন আশ্রমিক বলেন, উপাচার্যকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রুচিতে বাধে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা বলায় বিশ্বভারতীতে সোমবার প্রতিবাদ করেন ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয়রা।