নিউটাউনে ২৫ একর জমিতে ‘বিশ্বঅঙ্গন’, রঘুনাথপুরে ১০টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক: ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের ঘোষণা মতো রাজ্যে শিল্পোন্নয়নে জোয়ার। এই সব কাজ শুরু হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।

Must read

বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনেই রাজ্যে বিনিয়োগের বিপুল প্রস্তাব এসেছিল। বুধবার, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ১০টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক শিল্পসংস্থাগুলিকে বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিডকোর সঙ্গে পিপিপি মডেলে নিউটাউনে প্রায় ২৫ একর জমিতে ইনফরমেশন-টেকনোলজি-এন্টারটেনমেন্ট-কালচারাল পার্ক করবে রাজ্য। একই সঙ্গে রাজ্যের ২৩টি জেলায় সরকারি শপিংমল তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে বেশ কিছু কিছুদিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন-লাইনচ্যুত বনগাঁ লোকাল, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানে রাজ্যের শিল্পোন্নয়নে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুরুলিয়ায় রঘুনাথপুর যেখানে জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরী করেছে সরকার, সেখানে সেখানে ১০টা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হবে। বিভিন্ন কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৫১৫ একর জমিতে দশটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লট হবে। বেশিরভাগ স্টিল ইন্ডাস্ট্রি হবে। ২৫ হাজার কোটির বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হবে।

আগে জেলায় জেলায় রাজ্য সরকারের বিগ বাজার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনে তিনি জানান, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে এদিন মোট ৪৩ টি মাইক্রো এবং স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রি অনুমোদন করা হয়েছে। সবই এগুলি জেলায় জেলায় হবে। কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগ। এর ফলে জেলায় জেলায় কর্মসংস্থান হবে। মমতা বলেন, “বলেছিলাম ২৩টা জেলায় সেলফ হেল্প গ্রুপের কাজ বিক্রি করার জন্য। ২৩ জেলায় শপিং মলে একটা করে ফ্লোর দিতে হবে। এক একরে জমি দেওয়া হচ্ছে। ২৩ জেলার মধ্যে ১১ টা জেলা করে দিয়েছি। আরও ১২ টির প্রক্রিয়া চলছে।“ মুখ্যমন্ত্রী জানান, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, হাওড়ায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে।

এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী ‘বিশ্বঅঙ্গন’-এর ঘোষণা করেন। জানান, “আমরা হিডকোর সঙ্গে পিপিপি মডেলের নিউটাউন এলাকায় প্রায় ২৫ একর জমিতে একটি ইন্টারন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল পার্ক তৈরি করছি। যারা বিভিন্ন রকম এন্টারটেইনমেন্ট ক্রিয়েটিভিটি কালচারাল প্রোগ্রাম করতে আসে। একটা ইন্টারন্যাশনাল পার্ক হলে অনেক লাভ হবে। এর শর্ট নাম IITECH। বাংলা নাম বিশ্বঅঙ্গন। আমার কাছে অনেকদিন ধরে এটার ডিমান্ড ছিল। কলকাতায় এক লপ্তে ২৫ একর খুঁজে পাওয়া একটা বড় ব্যাপার ছিল। আমরা আজ সফল হয়েছি। বিজিবিএস-এর পর থেকেই জমি খুঁজছিলাম।“

অবশেষে মুক্তি দিল পাকিস্তান, ২৩ দিন পর ভারতে ফিরলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম!আরও পড়ুন-

রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের ঘোষণা মতো রাজ্যে শিল্পোন্নয়নে জোয়ার। এই সব কাজ শুরু হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। একই সঙ্গে দেশের বাণিজ্য মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নেবে বাংলা।

Latest article