সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনের ফটকে নিরাপত্তাকর্মীরা তালা মেরে দেওয়ায় তাদের সঙ্গে পড়ুয়াদের বচসা বাধে। তারই জেরে দেবলীনা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাকর্মীরা গেট খুলে দিতে বাধ্য হন। বৃহস্পতিবার ৫০টি টোটো নিয়ে উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-মিছিল করেন অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। আসন্ন পরীক্ষা বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। কারণ আদালতের নির্দেশ মেনে এখনও হস্টেল খোলেনি। কোনও ভবনের তালাও খোলেনি।
আরও পড়ুন-রঞ্জিতে সাফল্য এল প্রস্তুতিতেই
এদিন ছাত্র আন্দোলন ১১ দিনে পড়ল। উপাচার্য এক ভিডিওবার্তায় আপামর বাঙালি জাতি, দেশবাসী ও বিশ্বজাতির কাছে করজোড়ে আহ্বান জানান, বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর জন্য। বলেন, ‘বিশ্বভারতীতে দীর্ঘদিন ধরে নোংরা রাজনীতি চলছে। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।’ আরও বলেন, ‘মহামান্য আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য মেনে নিয়েছেন। কিন্তু কষ্টের বিষয়, তথাকথিত পড়ুয়া হিসেবে কয়েকজন বহিরাগত ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছে। তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের কাছে ত্রিপল খাটিয়ে বহুদিন ধরে বসে। ওই বিভাগে টাকাপয়সা জমা হয়। এমত অবস্থায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলার কথা ভাবছি না, যতক্ষণ না তারা সরে যাচ্ছে। একইভাবে সেন্ট্রাল লাইব্রে খোলার কথাও ভাবছি না। কারণ এগুলো ধ্বংস হলে, তার দায় বর্তাবে আমাদের উপর।’
আরও পড়ুন-আইপিএল নিয়ে উত্তেজিত বিরাট
ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা বিশ্বভারতীর দেওয়া পরিচয়পত্র দেখে সবাইকে ঢুকতে দেয়। কর্তৃপক্ষ কতজন বহিরাগতকে আইডি দিয়ে রেখেছে, এটা উপাচার্য নিশ্চয়ই জানেন, না হলে বলবেন কেন! তবে হোস্টেল খোলা-সহ তিনটি ন্যায্য দাবি না মানায় এবং সর্বোপরি আদালতের নির্দেশ না মানায় সাধারণ ছাত্রছাত্রী আগামীকাল থেকে যে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা তা বয়কটের ডাক দিয়েছেন। ইতিমধ্যে পড়ুয়ারা সোমনাথ সৌ ও মীনাক্ষী ভট্টাচার্যকে প্রতিনিধি করে ইমেলের মাধ্যমে তালিকা পাঠিয়ে কর্তৃপক্ষকে আদালতের রায় স্মরণ করিয়ে বলেছে, যে কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে কমিটি গঠন করে ছাত্র প্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে হস্টেল খুলে দেওয়া। আরেকটি ই-চিঠিতে পড়ুয়াদের দাবি, পরীক্ষার নামে প্রহসন বাতিল করতে।