হাজিরা নিয়ে উত্তাল বিশ্বভারতী, বিক্ষোভ

ক্লাসে ষাট শতাংশ উপস্থিতি না থাকায়, ত্রিশজন পরীক্ষার্থীকে বসতে দেওয়া হল না পরীক্ষায়।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ক্লাসে ষাট শতাংশ উপস্থিতি না থাকায়, ত্রিশজন পরীক্ষার্থীকে বসতে দেওয়া হল না পরীক্ষায়। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনে বিএড ও এমএডের প্রথম সেমিস্টারে পরীক্ষা ছিল। কিন্তু ক্লাসে উপস্থিতির হার কম, তাই ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার কারণে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনে। অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা।

আরও পড়ুন-নিরাপত্তা প্রত্যাহার

দৃষ্টিহীন ছাত্রদেরও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারেন ৩০ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। কারণ, প্রয়োজনের তুলনায় তাঁদের উপস্থিতির হার কম। ছাত্রছাত্রীরা ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয়। এরপরই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এরপরেই বিনয় ভবনের ক্লাসে তালা ঝুলিয়ে সমস্ত পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীরা সেই তালা ভাঙতে গেলে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে চূড়ান্ত ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিনয় ভবন চত্বরে। বিশ্বভারতীর ভবন চত্বরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাকর্মী। সেই সময় বিশেষভাবে সক্ষম এক পড়ুয়াকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বিএডের ১০ জন এবং এমএডের ২০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে এই তালিকায়।

আরও পড়ুন-শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরে কমলা সতর্কতা

ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, আগে তো কোনওভাবেই জানানো হয়নি। প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে জানতে পারি পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছাত্রছাত্রীরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, অধ্যাপকরাই নিয়মিত ক্লাসে আসতেন না। হোয়াটস্যাপে উপস্থিতি নিতেন। এতে আমাদের কী করার আছে। সবমিলিয়ে এদিন পরীক্ষা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে ক্লাসে। কিন্তু যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের উপস্থিতির সংখ্যা খুবই কম।

Latest article