প্রতিবেদন : নিশ্চিত পরিবর্তনের প্রতীক্ষায় মহারাষ্ট্র। গেরুয়া শিবিরকে বিদায় জানিয়ে রাজ্যের শাসনক্ষমতায় ইন্ডিয়া জোটকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমজনতা। বুধবার ভোটারদের লাইনে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলাপচারিতায় স্পষ্ট হয়ে উঠল এই ইঙ্গিত। ভোটগ্রহণ হল রাজ্যের ২৮৮টি আসনে। সস্ত্রীক ভোট দিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকর। কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন মেগা স্টার সলমন খানও।
আরও পড়ুন-মুর্শিদাবাদে নদীর ধারে, মাঠে ভিড়! কী মিলল সেখানে
তবে গ্রাম বা শহরতলির ভোটারদের মধ্যে এদিন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার ব্যাপারে যে আগ্রহ এবং উৎসাহ দেখা গিয়েছে, তা কিন্তু আদৌ চোখে পড়েনি মুম্বাই, পুণে কিংবা থানের মতো বৃহৎ নগরীতে। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটের হার ছিল খুবই হতাশাজনক। মাত্র ৩৯ শতাংশ। বেলা ৩টে পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। এর মধ্যে মুম্বইয়ে সবচেয়ে কম। মাত্র ৩৯ শতাংশ। তবে জয়ের ব্যাপারে পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট রীতিমতো দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, মহাবিকাশ আঘাড়ি নিশ্চিতভাবেই সরকার গঠন করবে। দলবেঁধে ভোট দিচ্ছেন মানুষ। তাঁদের প্রবণতা দেখে জয়ের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। এদিকে পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই বোধহয় অত্যন্ত হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে গেরুয়া-জোট। পারলি বিধানসভা কেন্দ্রে শারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির এক নেতার উপর হামলা চালিয়েছে গেরুয়া জোটের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর চালিয়েছে পোলিং বুথেও। ব্যাঙ্ক কলোনিতে আক্রান্ত হন মাধব যাদব নামে ওই এনসিপি নেতা। এরপরে ঘাটনান্দুর এলাকায় ভোটকেন্দ্রে ঢুকে পড়ে আসবাবপত্র ভেঙে তছনছ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি এখনও। তবে এমভিএ শিবির মনে করছে, গেরুয়া জোটকে শাসনক্ষমতা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে আমজনতা।