সংবাদদাতা, খাতড়া : আমন ধানচাষের জন্য প্রথম দফায় জল ছাড়া শুরু করল মুকুটমণিপুর জলাধার। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৪,২০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দেরিতে হলেও মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ায় খুশি বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলি জেলার একাংশের আমন চাষিরা। আমন ধানরোপণের মরসুম প্রায় শেষ হয়ে এলেও এখনও বৃষ্টির ঘাটতি থেকে গিয়েছে। সেই কারণে বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু জমি এখনও অনাবাদী পড়ে আছে। লাগাতার বৃষ্টি না হওয়ায় রোপণ করা আমন ধানের জমিতেও মাঝেমধ্যে প্রয়োজন হয়ে পড়ছে সেচের জলের।
আরও পড়ুন-বার্সেলোনার জয়ে উজ্জ্বল ইয়ামাল
এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার আমন কৃষকেরা মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার দাবি তুলছিলেন। কিন্তু চলতি বছর বর্ষায় পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় সেভাবে বৃষ্টি হয়নি বলে কংসাবতী এবং কুমারী নদীতে জলস্তর আশানুরূপ বাড়েনি। তার প্রভাবে মুকুটমণিপুর জলাধারের জলস্তরও বাড়েনি। সেচ দফতরকে কার্যত হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি মুকুটমণিপুর জলাধারের জলস্তরের উচ্চতা কিছুটা বাড়তেই ওই জলাধার থেকে সেচের জন্য জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেচ দফতর। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে লেফট ব্যাঙ্ক ফিডার ক্যানালে প্রায় ৩ হাজার কিউসেক এবং রাইট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানালে ১,২০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। পরে চাহিদা অনুযায়ী জল ছাড়ার পরিমাণ হ্রাস অথবা বৃদ্ধি করা হবে। প্রথম দফায় ২০ দিন এই জল ছাড়া হবে। দ্বিতীয় দফায় ২৩ সেপ্টেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ১৭ অক্টোবর থেকে সর্বাধিক ১৫ দিন করে জল ছাড়া হবে।